শ্রাবণ মাস, তবুও তোমার দেখা নেই
প্রকৃতিকে ধ্বংস করার মানুষের বালখিল্য দেখে
শোকাহত হওয়ার মতো অবস্থায়
সেই কবে ধ্বংসকারীদের ধিক্কার জানিয়ে
এখান থেকে চলে গেছো অশ্রুসজল নয়নে
বুক ভরা অভিমান নিয়ে
তারপরে আর এদিকে তাকাওনি ফিরে
একবারও ঠক ঠক করে কড়া নাড়াওনি দুয়ারে।
মনে পড়ে ফি বছর এই সময়
যখনি মেঘের ঘোমটায় মুখ ঢেকে
নর্তকীর মতো নৃত্যের ভঙ্গিতে ফিরে আসতে
ছন্দের তালে তালে আনন্দে বেজে উঠতো
প্রকৃতির তানপুরা টা,
সারা বাংলা শুনতে পেতো নৃত্যের তালে তালে
সুমধুর নুপুরের শব্দ ও তোমার পদধ্বনি
সারা বাংলা জুড়ে ঝরতো অঝোরে বৃষ্টি
এ বছর কোথাও নেই সেই আয়োজন
এখনো ঘটা করে হয়নি বোধন
নিয়মের বাঁধন ভেঙ্গে এখন যেন সব চুরমার
চারিদিকে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা, জলের হাহাকার।
কোথাও এখন শোনা যায় না ট্রাক্টরের শব্দ
কৃষকেরা একেবারে জব্দ, ভুলতে বসেছে চাষাবাদ
অভিমানী, জানি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছ অভিমানে।
অভিমান ভুলে দেখবে এসো এ যেন অনাসৃষ্টি।
বনের পশুরাও ধ্বংসকারীদের জানাচ্ছে ধিক্কার।
পরিণামে ঘাতকরা নিজেরা এখন প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ
কোথাও নেই আর তাদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস
তারা বুঝছে এখন ডেকে এনেছে সর্বনাশ
বিশ্ব জুড়ে কায়েম করেছে সন্ত্রাস।
অভিমানী, আর থেকো না অভিমানে আসক্ত
এবার ফিরে এসো।