একাকী বাঁচার এতো সাধ ছিল মনে?    
কী অদ্ভুত অভিলাষ!
বনানী র বুক চিঁড়ে,বৃক্ষাদি পুড়িয়ে বানালে কৃষির জমি।
একবারও অনুভব করোনি অরণ্যের কান্না,
বনের পশু,পাখিদের আর্তনাদ?
ওদের টুটি চেপে ধরেছ,উন্মাদনায়।
অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছ বনের পশু,পাখিদের।
সাধ মেটেনি,তবুও!
কৃষি জমিও কেড়ে নিয়েছ অবিচারে
কাজে লাগালে সর্বনাশা শিল্পে,
তুষ্ট করতে তোমার আরাধ্য দেবতা কে।
বেড়েছে তোমার শিল্পের জমি।
মাথা তুলেছে লক্ষ লক্ষ আকাশচুম্বী চুল্লী।
শিল্পের বর্জ্য ছড়ালে স্থলে,
বাড়লো ওরা বিষফোড়ার মতো।
খালবিল,নদীনালা,সাগর মহাসাগরের জলে
শিল্পের রাসায়নিক বিষ ছড়িয়ে দিলে।
আকাশটাকে ঢেকে দিলে চিমনির কালো ধোঁয়ায়।
আজ শিল্পের অফুরান বিষ জলে,স্থলে,অন্তরীক্ষে।
হানাদার তুমি,সবার বাসভূমি কেড়ে নিয়ে
শিল্প কে ঠাই দিলে সবার উপরে।
অর্থ রোজগারের লালসায় তাকে মহিমান্বিত করলে।
তোমার ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে,
বেড়েছে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন।
বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে অনর্গল,
জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে নিয়ত
সাগর জলের তাপমাত্রা বাড়ছে দ্রুত লয়ে।
একবার তাকিয়ে দেখো-
প্রবাল প্রাচীর-‘গ্রেট বাড়িয়ার রীফ’এর দিকে,
তার অন্তিম দশা,প্রবাল দের বাঁচা দুরাশা।
ওরা হাই তুলছে,বাঁচার ক্ষীণ আশায়।
অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে নবজাত প্রবালেরা।
প্রবাল সাম্রাজ্য আজ গভীর সংকটে
সামুদ্রিক প্রাণীরাও ভালো নেই মোটে।
হানাদার,তোমার কালো হাত সরিয়ে নাও এখনি,
ফিরিয়ে দাও চাষের জমি।
তোমাকে ফিরিয়ে দিতেই হবে বনভূমি
পশু,পাখী দের আবাস স্থল
ওদের নির্মল শ্বাস বায়ু ও বাঁচার পরিবেশ।
বন বাসে লক্ষণের মতো গণ্ডি কাটো শিল্পের লাগি।
শিল্পের বর্জ্য কে রাখো নিয়ন্ত্রণে।
হানাদার,সভ্য সমাজের দাবীটা কি শুনতে পাচ্ছ?