এ রুটিন আমার নয়
গুহাবাসী ভিন্ন অন্য কারোও নয়।
যুদ্ধের সময় গ্রাম,শহর ও নগরে
আতঙ্কের পরিবেশ ঠিক যেমন হয়
বিগত দু’বছর ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপলো সকলে
দৃশ্যপট?
ভাবলে শিহরিত হতে হয় ।
করোনার অতি-মারীর আবহে সমগ্র বিশ্ব যেন রণাঙ্গন।
এ দৃশ্য আগে কে,কবে দেখেছে কখন?
পরাক্রমশালী ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর যুদ্ধ ।
বিশ্বযুদ্ধ-ই বটে, কারো কাটলো না স্বস্তিতে,
এ-যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি ?
সেটি স্রষ্টা ভিন্ন নেই অন্য কারো হাতে।
দেখেছি বিশ্বজুড়ে ঘটলো কত অঘটন।
চলছে আজও, এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুতপাতের শেষ পর্যায়ে
জ্বালামুখ দিয়ে অল্পবিস্তর কালো ধোঁয়া
বেরিয়ে আসার মতন অবস্থা এখন
এ-যুদ্ধ আজও হয়নি সম্পূর্ণ প্রশমিত ।
হানাদার করোনার অতর্কিত আক্রমণে
বিগত দু’বছর বিশ্বব্যাপী রণাঙ্গনে
প্রাণ হারালো অগণিত বীর সেনা,
‘হাসপাতাল’ আহতদের হলো ঠিকানা।
চিকিৎসক ও নার্সদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা স্বত্বেও
যাদের প্রাণে বাঁচানো গেল না
তাদের শেষযাত্রায় নীরব সাক্ষী থাকলো 'দুঃসময়'।
যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়েও বাঁচলো যারা বিজিতের মতো
কী করে বোঝাই তাদের অবস্থা?
বলি,গত্যন্তর আছে কি এ-দুঃসময়ে করোনার সাথে
সন্ধি করে বেঁচে থাকা ছাড়া ?
আর যারা ভীত সন্ত্রস্ত তারা কাঁটালো দু’বছর
স্বেচ্ছায় শামুকের মতো গৃহবন্দি অবস্থায় ।
দুর্বিসহ জীবন, চারদিকে অন্ধকার
যেন প্রদীপের শিখাও জ্বলতে চায় না আর!
যে পরিবেশে যার যার বেড়ে ওঠা
যে বাতাসে রাতদিন মিশছে তাদের নিঃশ্বাস বায়ু
লকডাউনের কারণে সে পরিবেশও উঁকিঝুঁকি দিয়ে
দেখা হয়নি এ সময়,
যে পথঘাট হাতের রেখার মতো চেনাজানা
সেসবও হারাতে বসলো ঠিকানা।
প্রাণভয়ে এ রুটিন মেনে চলতে হলো দু’বছর।
‘যুদ্ধ শেষ’ ঘোষিত হলো না এখনো
স্বস্তির পরিবেশ ফিরলো না আজও ।