বলেছিলে বটে,গুরুপাক খাবার
কারোর হজম হয় না সহজে,
মূলত বৃদ্ধ-বয়সে।কিন্তু লোভ
সম্বরণ করা অনেকের পক্ষেই
কষ্টকর।বরং রসেবসে সেসব
খাওয়ার মজাই যে আলাদা,    
কিভাবে বোঝাবো সেটা?
বলতো,দামোদর শেঠের মতো
খাদ্য-রসিকের সামনে পঞ্চব্যঞ্জন
সহ নানাবিধ লোভনীয় খাবার  
পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে
দিলে সেসব খাবার না-খেয়েই
চলে আসতে পারে কি সহজে?
ভাবো,কোনও বাবুমশাই খাবার
টেবিলে।পঞ্চব্যঞ্জন সহ নানাবিধ
লোভনীয় খাবার তার সামনে বেশ
সুন্দরভাবে সাজানো,লালাগ্রন্থিও
বেশ সক্রিয়,লকলকে জিভ দিয়ে
ঝর্ণাধারার মতো লালারস গড়িয়ে
পড়ছে লালসায়।বলো,এ অবস্থায়
কী করতে পারেন বাবুমশাই?
সেদিন হলোও তাই।কি করলেন
বাবুমশাই?বলছি সেটাই।লোভকে
সম্বরণ করতে না-পেরে সেসব
খেলেন নির্দ্বিধায়।
তারপর?
গুরুপাক খাবার খাওয়ায় তার
শরীরে ঘটলো বিভ্রাট।একেবারে
মিক্সি মেশিন যেন চলতে শুরু
করলো পেটের ভেতরে।গুড়গুড়
শব্দ বের হতে শুরু হলো পেট
থেকে আর গলা দিয়ে অনর্গল
বেরিয়ে আসতে চেয়েছে ঢেঁকুর,
বমির উদ্রেক।
কিন্তু জনসমক্ষে এ কাজ করা
নিন্দনীয়।লোকমুখে জানাজানিও
হবে বাবুর কাণ্ডখানা।
কী ভাবছো বসে? তারপর?
নিরুপায় বাবুমশাই,সাত-পাঁচ
ভেবে চলে গেলেন দেবালয়ে,
দেবতার কাছে প্রার্থনা করে
করজোড়ে বলতে,‘একবার
ক্ষমা করো ঈশ্বর’।
বলো,এছাড়া তার কাছে আর
কোনও গত্যন্তর ছিল কি?