ও বুড়ি-মা, বাস করো তো এই ঘরে
মনে পড়ে এই ঘরে বাস করছো কত বছর ধরে
আর এই ঘর সারানো হলো শেষ কবে?
ভাবতে ভাবতে তো বেলা গেল, আর কত ভাববে?
মাথা খুঁটলেও মনে পড়ে না?
হতেই পারে, আর ভাবতে যেও না।
এখানে শীত-গ্রীষ্ম কি তোমার কম কাটলো?
সে বহু বছর তো এভাবে গেলো।
এ বাড়ির বয়স? সেও তো কম হলো না।
এখন চারদিক থেকে খসে পড়ছে পলস্তারা
বাদ যাচ্ছে না চাঙড় খসা।
বাড়িখানা বেশ বৃদ্ধ বটে,
এ বৃদ্ধের শরীরে আছে নাকি মাংসপেশি?
হারগুলোও বোধ হয় কমজোরি,
টিকে আছে যেন কোনমতে।
ঘরে জানালাগুলোর পাল্লাও নেই মোটে
বৃদ্ধ চেয়ে আছে যেন ফোকলা দাঁতে!
জানালা দিয়ে ওই দেখা যাচ্ছে যেন সিঁদুরে মেঘ
ধারে কাছে কুয়োর ধারে ভেকও ডাকছে যেন
গলা ছেড়ে ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙর করে
ঘরপোড়া গরুর মতো এ ঘর দেখলেও ভয় করে।
পূব দিক থেকেও বইছে ঝোড়ো হাওয়া
কে জানে, দুর্যোগ কি কড়া নাড়ছে দুয়ারে!
কেড়ে নেবে কি নাওয়া খাওয়া?
ও বুড়ি-মা, ঘরখানা এবার বোধ হয় ভাঙবে।
যেভাবে দিনযাপন করছো এই ঘরে
মাথার উপর চাঙড় খসে পড়লে যাবেই মরে।
এবার দেরি না-করে এই ঘর সারাবে নাকি?
নয়তো, মাথায় চাঙড় ভেঙে পড়লে করবে কী?