ঘুচলো কি অন্ধত্ব?
পড়েছো কি ইস্তাহার?-না পড়লে এ দায় কার?
তাতে লেখা ছিল, একটা যুদ্ধ বাঁধানো দরকার।
ভেবেছি তোমার গায়ে ঢলে পড়ে
‘পায়ে-পা বাঁধিয়ে ঝগড়া করে
কমাবো তোমার প্রাধান্য,
ঘোচাবো অসীম কৌলীন্য’।
বন্য পশুদের সেজন্য ছেড়ে দিয়েছি তোমার সীমানায়
তোমাকে উৎপীড়ন করবে, ওদের ডাকও শোনা যায়।  
সময় হয়েছে সে কাজ করে দেখানোর
অর্থশাস্ত্রের নিয়মগুলোকে দেবো প্রাধান্য    
ওদের মান্যতা দিয়েই করবো তোমার সংসার ছারখার
যুদ্ধ বাঁধিয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল করলে পাবে কি নিস্তার?
তোমার প্রাধান্য থাকবে কী? নিজেই হবে কুপোকাত
চতুর্মুখী আক্রমণ হলে তুমি সইতে পারবে কত ঘাত?
বরাত ভালো হলে মুচলেকা দিলে হয়তো পাবে ছাড়
সিংহাসন চ্যুত করলে কে মানবে তোমাকে কর্ণধার?
শোনো, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিছুটি ছুঁয়ে দিয়েছি গায়
তুমি চুল্‌কাও, রক্ত ঝরুক, আমার কী বা আসে যায়?
খবরদার! দেহটিকে চুলকাতে যেও না আর
সহ্য করতেই হবে, নয়তো পাবে না নিস্তার।
আগুন নিয়ে খেলছি বটে, পতঙ্গের দশাও হতে পারে।
রণ সাজে দাঁড়িয়ে রয়েছি মুখোমুখি যুদ্ধের অপেক্ষায়
বিশ্বযুদ্ধ বাঁধলে, পৃথিবী ধ্বংস হলেও কী আসে যায়?