ভাবতে অবাক লাগে যা ঘটলো
সেই নিঝুম রাতে।
ঘুম-স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন
থেকে দেখেছি হৃদয়-জমিনে
জমে থাকা স্মৃতিগুলো ফেরার
হয়নি তখনো।
তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েই থেকেছি বেশ।  
শোনো,ঠিক তখনি যেন হকার
‘গরম পাণিয়’ যোগান দিতে
এসে ‘বাবু,গরম চা/কফি!’বলে
মগজে দিলো সুড়সুড়ি।আমাকে
পাশ ফিরে শুতে দেখে সেও
ফিরে চলে গেল তড়িঘড়ি।
তোমাকে বলবো কি,সে সময়
স্মৃতি-রোমন্থনের জন্য হয়তো
এটুকুই যথেষ্ট।পাশ ফিরে শুয়ে
ঘুমোতে চাইলে জোটেনি নিদ্রা
দেবীর অনুমতি।
পরিবর্তে জুটেছে একখণ্ড স্মৃতি,
যেন দেখা দিলো সেলুলয়েডের
পাতায়।সে যেন সেই কবেকার,
চিত্রগুপ্তের খাতায় অস্পষ্ট লেখা
অনাদায়ী খাজনার হিসাব।
সেথায় কী লেখা শুনবে?তবে
শোনো,‘ভুবন-ডাঙ্গার জমিদারী
হাতে পেয়েও রাজা-বাহাদুররা
বংশপরম্পরায় সেটি কে ধরে
রাখতে পারেনি প্রজাপালনের
ব্যর্থতায়।অবশেষে দায় কাঁধে
সরতেও হলো রাজসিংহাসন
থেকে।রাজপাটও হাত ছাড়া।
তবু কৌলীন্য ভুলতে চায়নি
তারা’।
মাঝে মাঝে বেচারাও দেয়
মাথা চারা।এই যেমন ভোট
আসলে রাজনৈতিক দলগুলি
ভোটের আসরে নামবে বলে
দুর্গা নাম জপ করে আসন
ভাগাভাগির কাজে তড়িঘড়ি
নেমে পড়ে।আসন সমঝোতা
করতে রাজাবাহাদুরের নাকি
বিবেকে বাঁধে।
যাক গে,সে তারই ব্যাপার।
বলি,এই যেমন কী দরকার
ভাববার,পূজারী পাঁঠা বলি
দিতে গিয়ে খড়গের কোপ
বসাবে গলায় না শরীরের
অন্য কোথাও?
বলি,কী ভাবছো চুপ থেকে?
ভাবছো নাকি এখন কেমন
আছে শেষ বংশধর?
তাহলে বলি,‘সে বসে বসে
স্মৃতির আতরের গন্ধ শুঁকে
আনন্দে বেশ মজে আছে।
বলবো কি,সময়ের দাবীও
বুঝতে শেখেনি।