ওদের পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষার
তাগিদ ছিল না মোটে।ওরা কস্তূরী
নিয়ে যেন লোভ লালসার মত্ত তায়
মৃগ শিকারির মতো স্বার্থসিদ্ধি তে
ব্যস্ত,পশু-রোম নিয়ে ও যেন করেছে    
কাড়াকাড়ি।তাদের প্রাসাদ গালিচায়
সাজানো র ঔৎসুক্যে তর্ক-বাগীশের
মতো তর্ক জুড়ে পাণ্ডিত্যের ঝাঁপি
উজাড় করে সাজতে চেয়েছে বক
ধার্মিকের মতো।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু-সম্মেলন শেষ
হলো সিদ্ধান্ত বিহীন।অচিরে ঘনিয়ে
আসবেই দুর্দিন।এই ধরণীতে এবার
থাকবে নাকো কোন বাগিচা।ওদের
জালা ভর্তি লালসার উদ্-গিরণের
পাশাপাশি বাতাসে বাড়বেই কার্বন
নিঃসরণ।তখন উষ্ণায়-নের দাপটে
অরণ্য-ভূমি সহ পশু পাখিরা সবাই
পৌঁছবে ই জীবনের বানপ্রস্থে।ধূসর
মরুভূমির রক্তচক্ষু দেখে প্রাণীরাও
মরবে সাথে সাথে।    
শিকারি দের প্রাসাদ সাজাতে বহুমূল্য
গালিচা র জন্য প্রয়োজনীয় পশু লোম
দুর্লভ হবে না আর।ঘুচবে অভাব।
পশুরা মরে অনাদরে পরে থাকবে
পথ প্রান্তরে।শঙ্খচিল শব দের খোঁজে
উড়বে না নীলিমায়।
শবদেহ থেকে নিখরচায় পশু লোম
সংগ্রহ করে ওরা গালিচা বানিয়ে
করবে শখের গৃহসজ্জা।
লালসার বিষ পান করে চিরতরে
ঘুমিয়ে পড়বে তারা তাদের হাতে
গড়া প্রাসাদে,সেই মৃত্যু-উপত্যকায়।