কালের স্রোতে ‘গণতন্ত্র’ এগিয়ে
যাচ্ছে নদীর স্রোতের মতো।
তবে দিনকাল যে ভাবে দ্রুত
বদলাচ্ছে তাতে ভাববার সময়
হয়েছে,বৈকি।
দেখছো,চারিদিক থেকে অজস্র
জঞ্জালের স্তূপ নদীস্রোতে মিশে
তাকেও করছে গতি রুদ্ধ।
প্রতিদিন আকার ও আয়তনে
বাড়ছে জঞ্জাল,ঠিক যেন চোর,
ছিনতাই বাজ কিংবা বিষাক্ত
পার্থেনিয়াম এর বংশবিস্তারের
মতো।সুস্থ সমাজের জন্য ওরা
যে বিষাক্ত,বলতেও দ্বিধা নেই,
এ কথা চরম সত্য।
বলি,ওদের সম্পর্ক কেমন,সে
কথাটি ভেবেছো কখনও?বোধ
হয়,ভাবোনি এখনও।তবে এটি  
সত্য,বিঁচুটিপাতার মতো ওদের
উপদ্রব নিয়ত সহ্য করার পরে
ওদের কে নিয়ে ভাববার আর
অবকাশ কোথায়?
বলি শোনো,বিকট ঝড়-ঝাপটা
উপেক্ষা করেও এইতো সেদিন  
গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ভেবেচিন্তে
ওদের সম্পর্কটা এখন কোথায়
দাঁড়ালো সে নিয়ে বসলো এক
আলোচনা সভায়।
আলোচনা বেশ জমলো।তাদের
সকলেই সুন্দর বক্তব্য রাখলো।
তবে প্রধান অতিথির বক্তব্যটি
খুবই জোরালো।সে কি বললো,
জানো?
বললো,‘ওরা সবাই তুতো ভাই,
কেলেঙ্কারিতে ওদের নাকি জুড়ি
নাই।ভোট ঘোষণা হলেই ওরা
কবির লড়াই-এ মেতে ওঠে।
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়,
সত্য-মিথ্যাকে ফুলঝুরির মতো
উড়িয়ে’।
সে আরো বললো,'সেই বিদ্যাও
আজকাল অকেজো হচ্ছে বলে
ওদের বিদায় বেলায় মুখোশ
পড়া ছাড়া আর গতি কি’?
চারদিকে তাকিয়ে দেখি,ভোট
ঘোষণার সাথে সাথেই ওদের
অনেকে মুখোশ পরে বহুরূপী
সেজে মেতে উঠছে ছলাকলায়।
হায়রে,বিদায় বেলায় ওদের
কত কী করতে হয়,সেসবও
ভাবি!
দিনকাল দ্রুত বদলাচ্ছে।ওরা
মুখোশ পড়লেও ওদের আর
জনগণের চিনতে বাকি?ঠিকই
চিনে ফেলছে এখন ভোটের
রঙ্গমঞ্চে।
মুখোশধারী দের ছৌ-নৃত্যও
জমে না আজকাল।তাই ওরা
পথে নামছে নাকি বিকল্পের
সন্ধানে।
শুনেছি ওরা খেলাকেই বেছে
নিয়েছে।বলি,‘গড়ের মাঠ’টি
বিশাল উন্মু্ক্ত স্থান।খেলার
জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হতে
পারে।ওরা সকলে চলে যাক
সেখানে।
জনগণ ওদের খেলা দেখতে
গিয়ে,বলো,মরতে যাবে কেন,
অকারণে?তারা দূর থেকেই
খেলা দেখবে দূরবীণে।
বলি,এই খেলাটি অনেকের
না-পছন্দ হতে পারে।শোনো,
গণতন্ত্রে সেই অভিমত টুকুও
জানানো দরকার।‘নোটা’তো
রয়েছে,তাদের অভিমত টুকু
জানাতে।বলি,বিশাল পাথরে
ধাক্কা খেলে তবেই নদী তার
গতিপথ বদলায়।সে কথা কি
কারো অজানা আছে?