বলছি তোমায়,শোনো,‘জানো তো
পূজা পার্বণ নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মে
বিশ্বাসীদের মধ্যেও মতভেদ বিস্তর,
যেমন নানান মুনির নানান মত’।
একথা শুনে তুমি কি বিস্মিত?
বলছি,তুমি হয়তো রয়েছ অবগত
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা অনেকে বলেন,
‘নবমীর রাত্রি শেষে,মা দুর্গা ফিরে
যাবেন কৈলাসে’।তারপর আবারও
একটি বছর অপেক্ষা ফিরে পেতে
তাঁর দেখা।
এবার দুর্যোগের সময় বাপের বাড়ি
এলেন দেবী দশভুজা।সর্বত্র করোনা
সংক্রমণের ভয়।তাই তাঁর পা দুটি
জড়িয়ে ধরে ঘোর দুর্যোগের থেকে
সব বিশ্ববাসীকে বাঁচানোর আকুতি
জানাতে তাঁর কাছে যেতে জাগছে
সংশয়,কী জানি কি হয়!পাশাপাশি
আদালতের নির্দেশাবলীর কারণেও
তাঁর কাছে যাওয়াও দুষ্কর।
তুমি দেখছো কি ভাবে চারিদিকে  
বেড়েছে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব?ভাবছি
তাই দশভূজাকে বলবো দূর থেকে,
‘অসুর-রূপী সকল রিপুদের ধ্বংস
করে,হে জগত জননী,সমগ্র বিশ্বকে
সব মানুষের বাসযোগ্য করে দাও
এখনি’।করোনা কেও বিশ্বের থেকে  
দাও বিদায়।    
বলছি,আগেও দেখেছি প্রতি বছর
পূজার শেষে সধবা রমণীরা মাকে
বিদায় কালে মেতে ওঠেন সকলে
সিঁদুর খেলায়।নিজেদের ভুলভ্রান্তি,
বিভেদ ও মনের কালিমা ঘুচিয়ে
নিজেরাই আলিঙ্গনে বদ্ধ হওয়ার
প্রয়াসে সম বয়সী নর নারীদের  
মধ্যে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের
পালা,ছোটরা ছুটে যায় বড়দের
কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনায়।সে সময়
বয়োজ্যেষ্ঠ রা তাদের কিছু সময়
অকৃপণ ভাবে হাসি উল্লাসে খরচ
করেন ছোটদের মঙ্গল কামনায়।
এ বছর করোনা সংক্রমণের ভয়ে
সেসব অল্পবিস্তর কাটছাঁট হলেও
হয়তো কোনও রীতি বদলাবে না।
সবই চলবে বিগত বছরের মতো।
হয়তো সেই সাথে আবারও শুরু
হবে কর্ম ময় জীবনের আরও এক
বছরের হিসাব লেখার যেন শুভ
সূচনা।
ভাবছি,এ যেন পরবর্তী বছরের
কর্ম ফলের শূন্য ঘড়াটিকে পূর্ণ
করার প্রচেষ্টার শুভ সূচনা মাত্র।
গণপতি হয়তো হালখাতা নিয়ে
লিখবেন দিবারাত্র।
জানো,‘হয়তো’ কথাটি বারংবার
বলছি কারণ,দেবদেবীদের অস্তিত্ব
নিয়েও অনেকেই সন্দিহান।জানো,
কত যে মত আছে প্রচলিত।
কেহ কেহ নাকি বলেন,মাধ্যমের  
ভিন্নতার কারণে এই বিশ্ব থেকে
দেবলোকের বস্তু ও সেই স্থানের
ঘটনাবলী জানা এবং বোঝা নাকি
অসম্ভব।এ যেন জলে চোখ রেখে
বাইরের কোনও ঘনবস্তুকে দেখার
ব্যর্থ প্রয়াস।সেসব উপলব্ধি করতে
কল্পনা আবশ্যক।
যাক গে সেসব কথা।বলছি শোনো,
এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক অনাবশ্যক।
ভাবছি,যে বিষয় গুলি জানতে ইচ্ছা
করে,জিজ্ঞেস করবো কাকে?কোথায়
ও কার কাছে মিলবে সদুত্তর?কে
বলতে পারবেন,শোধ হয়েছে কিনা
বিগত দিনগুলির সকল কৃত কর্মের
দেনাপাওনা, মহাকালের খাতায়?
নাকি,প্রসঙ্গ গুলি আজগুবি,অবান্তর।