বাঁকখালী নদীতীরে কক্স বাজারে
হাট বসে প্রতি শনি ও মঙ্গলবারে।
সাত সকালে পসারিরা হাটে এসে
বিকিকিনি করতেই সাজিয়ে বসে  
তারা বেচাকেনা করে রমরমিয়ে              
সাঁজ-বেলায় ঘরে ফেরে হনহনিয়ে।
ঝুড়ি ভর্তি মরসুমি সবজি এনে
গাঁয়ের চাষিরা হাটে বেচে কেনে।
ফলফলাদিও হাটে কম আসে না
সারাদিন চলে ওদের বেচাকেনা।
এই হাটে আসে বহু কলার কাঁদি
কেনাবেচা হয় দরে পোষায় যদি।
প্রতি হাটে জনসমাগম নজরকাড়া
দুপুরে জেগে ঘুমায় তাদের পাড়া।
লোকজন কেউ আসে সড়ক পথে
একা কিংবা পাড়াপড়শিদের সাথে  
কেউ আসে নদীপথে পসরা নিয়ে
সারা পথে গান গেয়ে গুন-গনিয়ে।
হাটে নজর কাড়ে বাঁশ বেচাকেনা
আখের আঁটি,সেও কম যায় না!  
বাঁশের আঁটি বেঁধে ভাসিয়ে জলে    
চাষিরা অজস্র ভেলা গড়ে তোলে
নদীতে সারি বেধে ভাসিয়ে দিয়ে
তারা হাটে আসে সেই বাঁশ নিয়ে।
মুইট্টা বাঁশ এবং পাইয়া বাঁশের ঠাই
প্রতি হাটে খুবই বেশি দেখতে পাই।
গ্রাম বাংলা জুড়ে বাঁশের কদর বেশি
বহু সামগ্রী গড়েন আট থেকে আশি।
সন্ধ্যার আগেই সেরে সব বেচাকেনা
সবাই ফেরে যেথায় তাদের ঠিকানা।