বৃদ্ধের নৌ বিহারের অভিজ্ঞতার
ঝাঁপিটি মূল্যবান সন্দেশে ভরপুর,
বুঝেছি সেকথা তার পাশে বসে
একান্তে আলাপচারিতায়।
দেখেছেন তিনি,‘পানকৌড়ির সাথে
মোহময়ী মিথ্যাদের সাযুজ্য বেশ।
উভয়ে আজও ধরে রেখেছে ভেসে
বেড়ানোর অভ্যাস’।
শুনেছি বৃদ্ধের মুখে,‘খাদ্যের হদিশ
পেলে অদম্য ইচ্ছায় দক্ষ ডুবুরীর
মতো ডুব দিয়ে স্বচ্ছন্দেই সেসব
তুলে আনা নাকি তাদের উভয়ের
আজন্ম অভ্যাস’।
বিশ্বাসে ভর করে জিজ্ঞেস করেছি
তাঁকে,‘অভিজ্ঞতার ঝাঁপিতে আরও
কিছু আছে নাকি?’
বললেন তিনি,নৌ বিহারের সময়
এক ঘটনা দেখে মিনি বিড়ালের
মতো সিঁটিয়ে ছিলেন প্রথমে।পড়ে
অভিজ্ঞতার ঝাঁপিটি আরও সমৃদ্ধ
করার ইচ্ছায় ভয় কাটিয়ে সাথে
সাথে ‘কৌতুহল’এর বশেই হুমড়ি
খেয়ে বসলেন পাটাতনে।
‘কৌতুহল’ এই ভয়ানক ছোঁয়াচে
রোগে আক্রান্ত হয়ে দরদর করে
ঘেমে নেয়ে জিজ্ঞেস করেছি তাঁকে,
‘তারপর’?
বৃদ্ধ নাকে এক টিপ নস্যি পুড়ে
অভিজ্ঞতার শেয়ার করতে গিয়ে
বললেন,‘তারা উভয়ে অভ্যাসের
বশে খাবারের ছোঁয়া পেয়ে ডুব
দিয়েছিল গভীরে।তারপরে সময়
বহুদূর গড়ালো,তবু কেহই ভেসে
ওঠেনি আর’।
এই কথাটি শুনেই যখন ভাবছি,
‘তবে কী হতে পারে’?ঠিক তখন
বৃদ্ধ বললেন,‘তারা জানতো না
সে সব খাবার নয়,বড়ো সড়ো
কুমীর ছিলো।