দেখেছি এক জাতিকে শত-ছিদ্র কাঁথায়
শুয়ে কাতরাতে কুষ্ঠে আক্রান্ত শীর্ণকায়
ব্যক্তির মতো নিয়ত।
শিশু শিক্ষায় ইংরাজী মাধ্যমকে উস্‌কে
দেওয়ায় অসহায়ের মতোই মুখ থুবড়ে
পড়লো তার মাতৃভাষা।
দিশেহারা হলো নাকি? অপসংস্কৃতি কে
কোলেপিঠে আগলে ধরায় তার সংস্কৃতি
পুড়ছে তীব্র খরায়।
শিল্প? সেও পা-বাড়ালো বৈতরণীর দিকে,
উন্নয়নও পিছু হটলো,বৈকি।
ভাবতে কষ্ট হয় সে জাতির আর অবশিষ্ট
রইলো কী? দেওয়ালে কান পেতে শুনবে
নাকি টিকটিকি,এখন বলছে কি?
বলছে,গণতন্ত্রের খিলানগুলো নেড়েচেড়ে
মাটিতে শুয়ে দিতে প্রচেষ্টা চলছে নাকি?
বিচার ব্যবস্থার দিকে উঁকিঝুঁকি দিলেও
বিলক্ষণ নজরে আসবে বাদ যায়নি তার
মুখেও মাখাতে কালি।
আদালতে চলছে কী?
মহামান্য বিচারকের এজলাসে দিশেহারা
কালো পোশাকে কতিপয় আইনজীবীর
কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় তারা তর্ক যুদ্ধ
করবে কি? মহান আইন পেশায় এসেও
মেরুদণ্ড বন্ধক রেখে বসে আছে,বৈকি!
বিচারকের এজলাস বয়কট করা ছাড়া
তাদের আর গত্যন্তর কী!
জানি না,তারা দেখাবে আরও কত কী!
ছিঃ ছিঃ ছিঃ।
ওই শোনো টিক টিক শব্দ। আদালতের
দেওয়ালে বসে টিকটিকিরা জানতে চায়
বিচারের রায় কেনার প্রচেষ্টা চলবে কি?
ঘটনাপ্রবাহ জনমানসেও এই অশনি বার্তা
পৌঁছে দিচ্ছে নাকি?
আদালতে সুবিচারের প্রত্যাশীরা ভাবছে
বসে অবিচারের কুৎসিত মুখও দেখতে
হবে কি?
বললো টিকটিকি এ সমাজটা ঘূর্ণিপাকে
পড়তে বাকী!
অবসরে ভাবি, শিরদাঁড়াকে বন্ধক রেখে
আজব কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িয়ে সেই
বাবুরা করলো, এ কী কাণ্ড! পারবে কি  
আর কোমরটা বাঁধতে কষে?
এজলাস বয়কটের ধারা অব্যাহত থাকলে
সমাজ আর কত সইতে পারে? এরপরও
এই জাতি কি চুপ করে থাকবে বসে?
কে বলতে পারে আড়মোড়া ভেঙ্গে গর্জে
উঠলে এই করিতকর্মাদের কী অবস্থা হবে?
উলঙ্গ-রাজার মতো হবে নাতো শেষে?