আকাশে জমেছে মেঘ,
ধেয়ে আসছে কালবৈশাখীর ঝড়ো-হাওয়া!
বিদ্যুতের ঝলকানি?-সেও প্রস্তুত দেখাতে তাণ্ডব।    
দুঃসময়! নদীও বড়োই অশান্ত!
নদী-পাড় ভাঙ্গার শব্দ শুনে
হন্তদন্ত হয়ে তার ধারে কাছে গিয়ে দেখি
সেকি ভয়ঙ্কর! ধপাস ধপাস করে ভাঙ্গছে পাড়।
বুনো শিয়ালগুলোও পাড়ে বসে করছে চিৎকার!
শান্তিতে উপকূলের ঘুম?
অবস্থা বেগতিক হলে সে কি শান্তিতে ঘুমতে পারে?
এখনি বুঝছে হাড়ে হাড়ে, শিরে সংক্রান্তি হবার জোগাড়!
কাকাতুয়া কোত্থেকে উড়ে এসে বলে গেল
কিছু শিয়াল গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে করছে জটলা
উপকূলের ঘুম কেড়ে নিতেও ওরা তৈরি হয়েছে।
ভেবে দেখেছি সে হতে পারে, সম্ভাবনা প্রবল!
সে হবে না কেন?- ভোট যে আসন্ন।
কেননা বিনা রক্তপাতে ভোট?
যদিও ভোট-সন্ত্রাস কখনো কাম্য নয়,
সে আর হচ্ছে কোথায়?
যা দিনকাল, বিনা সন্ত্রাসে ভোট আকাশকুসুম কল্পনা!
সে অবস্থা দাঁড়ালে মরতে পারে বহু মানুষ
কিছু মরদেহের ভাগাড়েও ঠাই হতে পারে
সেগুলো সেখানে হয়তো খাবে গড়াগড়ি!
নেকড়েগুলো তখন চুপ করে থাকবে নাকি?
ভাগাড়ের দখল নিতে গর্ত থেকে বেরিয়ে
তড়িৎ গতিতে ছুটে এসে করবে মারামারি।
এখনি যা অবস্থা উপকূলের চোখে ঘুম নেই!
আর সেসময় উপকূলের ঘুম ছুটে পালাবে বৈকি!
ওদের উপদ্রব থেকে যতই বাঁচতে চেষ্টা করুক
হয়তো পাবে না নিস্তার।