উলুখাগড়ার কদর বোঝে এমন
আছে ক’জন?আগে রাজরাজারা
অনেকেই জানতো সিংহাসন অটুট
রাখতে হলে উলুখাগড়াদের খুবই
প্রয়োজন।
এখন রাজপাট ঘুচেছে,গণতান্ত্রিক
শাসন ব্যবস্থার অদলবদল ঘটার
সময় পুজাপার্বনের বেড়েছে চল।
বিধিসম্মত ভাবে সন্ধিপুজা আছে
সচল।
অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে দেখো,
সব তল্লাটেই হয়েছে সন্ধিপুজার
আয়োজন আর সে সময় বিশিষ্ট
ব্যক্তি বর্গের অনেকেই দিয়েছেন
নৈতিকতার বিসর্জন।
শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন গুলো
জানতেই উদগ্রীব হচ্ছো নাকি?
বলছি শোনো,শাসন ব্যবস্থার  
বদল হলেও মূল ব্যবস্থাপনার
সবই রয়েছে বহাল তবিয়তে।
উলু বনের প্রয়োজন?বেড়েছে
বই কমেনি কোনমতে।
তাই বনের সম্প্রসারণ ঘটাতে
বহু কলকারখানা গুটিয়ে ফেলা
হয়েছে এখন।বাদবাকী দেরও
গোটানোর চলছে আয়োজন।বন
বাড়বে যখন,তখন অটুট থাকবে
সিংহাসন।
নড়েচড়ে বসছো কেন?এ কথায়
বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?তবে ফিরে
দেখো,অদূরে চলনশক্তি হীন বৃদ্ধ
ভিখারীটির দিকে।
সে লাঠিতে ভর দিয়েই একজন
ডাক্তার বাবুর কাছে গিয়ে বললো
তাকে,‘বাবু!আমার জানতে খুব
ইচ্ছা করে,মানুষ যখন অসহায়,
বাঁচবার তাগিদে দারিদ্রের সাথে
লড়াই করতে করতে প্রাণ যায়
সেই অবস্থায় তারা ‘নৈতিকতা’
কি বেলের সরবতের মতো গুলে
খায়’?
বলো,কি উত্তর দেবে?ডাক্তারবাবু
ব্যর্থতা ঢাকতে গুগল সার্চ করে
দেখে,সবজান্তারও সে উত্তর জানা
নাই।
সেখানে উত্তর না-পেয়ে অতি কষ্টে
হেঁটে বৃদ্ধটি এক চা এর দোকানে
তেষ্টা নিবারণে গিয়ে দেখে ক’জন
চায়ের আসরে এই প্রসঙ্গে করছে
বলাবলি।
বললো একজন,‘যখন দাবানলের
মতো পেটটি জ্বলতে থাকে খিদের
তাড়নায় তখন ভালোমন্দ কোনও
বাছবিচার এবং নৈতিকতারও ঠাই
নাই।সে সময় নাকি উলুখাগড়াদের
নিমন্ত্রণ করারও প্রয়োজন হয় না।
দু’মুঠো শস্য দানা উঠোনে ছড়িয়ে
দিয়ে ওদের একবার ডাকলেই হলো,
পোষমানা পাখির মতো উড়ে এসে
ভীড় জমায় যখন তখন’।
বলি,মাথা চুলকাচ্ছো কেন?শোনো,
সে ব্যক্তি করলো আরও সংযোজন,
‘ভিসুভিয়াস ঘুমিয়ে আছে,এখনও।
এই সময়ে মিছিল ও মিটিং গুলো
ঘুরে সরেজমিনে এই কথা গুলোর
সত্যতা যাচাই করতে পারো’।