সেদিন শুনেছি একজন সুশিক্ষিত,মেধাবী
ও কর্মঠ যুবকের মুখে এক বিদঘুটে প্রশ্ন
নাকি জাগলো এক ঠগ-বাজ শিল্পপতির
মগজে।
মাল বাহক কর্মী নিয়োগের সময় চাকুরী  
প্রার্থীদের ডেকে সে বিশেষজ্ঞদের মতো
একে একে জিজ্ঞেস করলো,‘এক কলুষিত
সমাজকে যথাযথ শুধরে দিতে সমাজের
গালে জোরসে চড় কষাতে পারবে কিনা?’
প্রশ্নকর্তাটি বললো এই একটিমাত্র প্রশ্নের
উত্তরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে নাকি জড়িয়ে
রয়েছে তাদের চাকুরীর সম্ভাবনা।
অদ্ভুত লাগছে হয়তো প্রশ্ন খানা।উত্তরের
সন্ধানে তুমি কী ভাবছো বসে এই কথা
শুনে?কুস্তি,ক্যারাটে কিংবা মুষ্টি-যুদ্ধের
প্রশিক্ষণের আবশ্যকীয়তার কথা হয়তো
ভাবছো মনে মনে।
বিরক্তির উদ্রেক হলো কি এই প্রশ্ন শুনে?
বর্ষায় প্লাবনের জল কোন দিকে গড়িয়ে
চলে সেটি দেখার মতো এই প্রশ্নটিরও
উত্তরের সন্ধানে চাকুরীজীবীদের মতামত
সমীক্ষার উদ্দেশ্যে যাবে কি দেশ বিদেশে?
দেখতে পারো সমীক্ষা করে সংখ্যা গরিষ্ঠ
চাকুরী জীবীদের কাছ থেকে হ্যাঁ কিংবা
না কোন উত্তরটি ভেসে আসে।
বলি,তোমাকে সম্ভাব্য উত্তর খুঁজতে মনে        
মনে চিরুনি তল্লাশি করতে হবে না।
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পেলে খাঁচায় বন্দী
পাখিদের মতো দেখবে তাদের অনেকের
হবে তেমনি দুর্দশা।উত্তর না দিয়েই চলে
যেতে ব্যস্ত,কোনদিকে তারা যে পালাবে,
তার দিশাও পাবে না খুঁজে।দেখবে কেহ
হয়তো পিছনে ফিরে তির্যক মন্তব্য ছুঁড়ে
দেবে তোমার মুখের উপরে।
আসলে সেই কাজটি করতে পারবে না
সিংহ ভাগ চাকুরীজীবী।কেন না পরাশ্রয়ী
লতানো গাছের মতো জীবিকা নির্বাহের
তাগিদে তাদেরকে অন্ধ ভাবে করতে হয়
নিয়োগ কর্তাদের তাঁবেদারি।মগজে সত্য
অসত্যের বিচার ভাবনা জাগলে যুক্তির
উপর ভর করে তারা বিভ্রান্তি ঘোচাতে
চাইবে তড়িঘড়ি।
ছলচাতুরী করাই নিয়োগকর্তার উদ্দেশ্য
হলে তখন সেটি হবে তার স্বার্থ সিদ্ধির
পরিপন্থী। বিশ্ব জুড়ে অদক্ষদের কদর
বেশি তাঁবেদারির চাকুরীতে।একটু ভেবে
দেখো বিশ্বে সিংহ-ভাগ চাকুরী পড়ে সেই
তালিকাতে।প্রশ্নকর্তা হয়তো  সেই ভেবে
তাদের যাচাই করতে চেয়েছে।