শুনবে নাকি কাকাতুয়াটির
কাণ্ডখানা?অজানা বিষয়াদি
পেলে সে তখনি ঝুঁকি নিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ে তার কৌতূহল
নিবারণে।দূর দূরান্তরেও উড়ে
চলে যায় সেকারণে।
তাকে উজ্জীবিত দেখে ভাবি  
এই ব্যাপারে জীবনের ঝুঁকি
নিতে তার জুড়ি মেলা ভার।
সে বলেছিল,‘দক্ষ প্রহরীদের
চোখে ধূলা দিয়েও সে নাকি
বহু দেশের পার্লামেন্টে পৌঁছে
গেছে বহুবার’।
বলি শোনো,কী কাণ্ড করলো
এবার।দেখছি,ক’দিন বেপাত্তা
থাকার পরে একটু আগে সে
হঠাৎ-ই উড়ে এসে উঠানের
পাশে বাতাবি লেবু গাছটিতে
বসলো হেসে।
বলবো কী তোমায়,সে সময়
আমিও যেন আত্মীয় পরায়ণ
হয়ে তার কথাই ভাবছি।হঠাৎ
তার ডাক শুনে আমি নতুন
খবরাখবর জানতে তড়িঘড়ি
তার কাছে ছুটে গেছি।
বলি,কৌতূহলে টগবগ করছো
নাকি,এখনি?জানি,পরের সব
ঘটনা জানলে তোমারও তার
মতো দশা হবে।
পরের ঘটনাগুলো,শোনো।বেশ
রসেবসে গল্প করতে গিয়ে সে
বললো,দেশে ও বিদেশে উড়ে
বেড়ানো পরিণত হয়েছে তার
অভ্যাসে।ডানাগুলো আছে বলে
তাকে চড়তেও হয় না ট্রেনে,
বাসে।টিকিট কাটার প্রশ্ন ওঠে
না।এই সুযোগ কে সে কাজে
লাগাচ্ছে ষোল আনা।
বললো পাখি,ক’দিন আগে সে
বেড়িয়ে পড়েছিল ‘গণতন্ত্র’এর
খবর নিতে।খুবই কাছ থেকে
তাকে বিধ্বস্ত দেখেছে।শরীরটা
ভালো নেই,মুখখানি ফ্যাকাসে।
‘জণ্ডিস’ হতে পারে!
বললো সে,যাকে বলে সাঁড়াশি
আক্রমণ,সেসবও বলবত হচ্ছে
তার উপর।করোনায় আক্রান্ত
হয়নি বটে,তবে খক-খক করে
বৃদ্ধদের মতোই কাশছে সকল
সময়।
আরও কী বললো,সেও শুনবে
নাকি?দেখেছে সে,‘গণতন্ত্র যে
স্তম্ভগুলোর উপর দাঁড়িয়ে আছে,
তাদের কয়েকটার আস্তরণ খসে
ঝুরঝুর করে পড়ছে’।কৌতূহল
বশত দক্ষ বিশেষজ্ঞের মতো সে
তার ঠোট দিয়ে সেসব গুলোকে
ঠুকে দেখেছে,‘ঠকঠক করে বেশ
নড়ছে,একেবারে বৃদ্ধদের দাঁতের
মতন’।
বললো,‘সবটা-ই উল্টে পড়তেও
পারে যখন তখন।সেসব গুলোর
যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এখন খুবই
প্রয়োজন’।জরুরী সেকথাটি সব
জনগণ কে জানাতেই সে নাকি
বেরিয়ে পড়েছে এখন।