দেখেছি তাকে খাদ্য পরিপাকে,
রসনা-তৃপ্তির জন্য স্বাদ আহরণে
ও বাক্য বিনিময়ের মতো বহু
কাজেই সে নিয়ত কর্মব্যস্ত।সে
মুখ বিবরে বসে নৌকার হালের
মতো নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে
নিয়ত।
বলি,তাকে বাদ দিয়ে বাঁচতে
চাইলে,জেনে রাখো,খনার মতো
ভুগতে হবে দুর্দশায়।
বলা ভালো,দেখবে দাঁত গুলোর
সাথে তার খুব একটা বাঁধে না
বিবাদ,তবে দৈবাৎ যদি বাঁধে
সংঘাত তবে সকলে শুরু করে
উঁহু-আ করে চিৎকার।
ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে সে
সবার মঙ্গল কামনায় সবসময়
মনোমন্দিরের দ্বার খুলে দিতেও
পারে পূজারীর উদ্দেশ্যে।
দেখি,তার কাজে ভুলভ্রান্তি হলে
সাথে সাথে ঘটে বিভ্রাট!তখনি
ব্যক্তি কিংবা সমাজের উপরে
পড়ে তার ঘাত-প্রতিঘাত।
সে সহজে যে কোনও ব্যক্তিকে
পৌঁছে দিতেও পারে সন্ত্রাসের
মুখ্য ভূমিকায়।ধ্বংসাত্মক কাজে
খলনায়ক সাজাতেও তার সময়
লাগে না মোটে।
বলি,মহৎ কাজ উদ্দেশ্যে হলে
তাকে পূজারির মতো রাখতে
ক্ষতি কী?
তবে সে জন্য সংযম প্রয়োজন।
ইদানীং এর অভাব বোধ যেন
বাড়ছে তপ্ত তেলে  ফুলরিদের
মতো।
তাকে নিয়ে ইদানীং শোরগোল
বেশ জমজমাট।সকাল থেকেই
রাত অবধি।যদিও নতুন নয়,
এর আবির্ভাব ঘটেছে আগেই,
তবে বাড়ছে অশ্লীলতায় ভরা
এই যাত্রাপালা?
সংযম ও আত্ম-অনুশাসনের
অভাবে ও অনভ্যাসে অনেক
খলনায়ক এবং নায়িকা দের
স্বরতন্ত্রী থেকে বের হয় না
শুচি-শুদ্ধ শব্দমালা।
যা বের হয় শুনতে ই ভালো
লাগে না মোটে।সেসব বেশি
শোনা যায় মাঠে ময়দানে ও
সংবাদ মাধ্যমে।
কানে তুলা গুঁজে দিয়ে বসে
ভাবি,পরবর্তী প্রজন্ম পড়েছে
বিপাকে তাদেরই পূর্বসূরিদের
কাজকর্ম দেখে।মনে হয়,স্বয়ং
ব্রক্ষ্মাও জানে না এর সুদূর
প্রসারী ফল কোথায় গিয়েই
দাঁড়াবে।