এ যে ‘অবাক জল পান’ এর
গল্পের মতো কাণ্ড খানা।বহু
বছর কেটে গেছে বটে তবুও
সে ঘটনাটি নিশ্চয় জেনেছো
পুঁথিপত্র ঘেঁটে।
আবার জলের খোঁজে চারদিক
তোলপাড়!অবশ্য এবার একটু
ভিন্ন ব্যাপার।ঘটনা টা জানার
জন্য মন আঁকুপাঁকু করছে কি?
তোমার হাবভাব দেখে এখন
সেটাই ভাবছি।
তবে শোনো,‘অনেকে আজকাল
জলের খোঁজখবর নিচ্ছে সাঁতার
শিখতে,প্রয়োজন বোধে তারাও
যেন পদ্ম,শাপলা কিংবা নিতান্ত
ডোবার কচুরিপানার মতো ভেসে
থাকতে পারে।
তোমাকে বিষণ্ণ দেখছি কেন?
তুমি তো জানো,এখন বনানী
নিধন,নগরায়ণ এসব কর্মকাণ্ডে
বেড়েছে পরিবেশের দূষণ এবং
উষ্ণায়ণ।এখন বর্ষাকালে বর্ষণ
হচ্ছে না মোটে।চলছে ঋতুদের
খামখেয়ালীপনা।সেই সাথেই
উষ্ণায়ণের কারণেও শুকিয়েই
গেছে পুকুর ও জলাশয়।
কেহ ওদের খবরাখবর জানতে
এলে বলো,‘কোনও মিথ্যা কথা
বলতে পারবো না,অভয় দিতে’।
সত্যি টাই বলে দিও।
তাদের বলো,‘ইচ্ছা ঘুড়ি উড়তে
দিও না আর।সামলে রাখা এখন
খুব দরকার’।সত্যি টা বুঝিয়ে দিও,
‘সাঁতার শিখে পদ্ম কিবা শাপলার
মতো তো নয় ই,বলি,কচুরিপানার
মতোও ভাসতে পারবে না পুকুর
ও জলাশয়ের অভাবে।সাঁতার যে
কাটবে সেও নেই বরাতে।সে সব
খুঁজতে যেও নাকো আর’।
বলছি,একটা খবর জেনে রাখো,
কাজে লাগতে পারে যে কোনও
সময়।তুমি তো জানতেই,‘একটি
দুখের সাগর থাকে সবার মনের
ভেতর।তবে সেটি কেহ দেখেনি
কখনো।উন্নত প্রযুক্তি দের কাজে
লাগিয়ে দেশের কারিগররা নাকি
তাকে বের করে এনে ভাসিয়েও
দিতে পেরেছে একেবারে শূন্যে,
বেকার যুবক যুবতীদের হাতের
নাগালে’।
কাকাতুয়া খবরটা দিয়ে গেল,সে
শুনে এসেছে বেকাররা অনিশ্চিত
ভবিষ্যৎ নিয়ে সেখানেও ভাসতে
পারে।
অনেকে নাকি শূন্যে ভাসতে শিখে
গেছে!বিশ্বকর্মা এ ঘোষণা করেছে,
‘যাদের এখনও শেখা বাকি তারা
বিনা ব্যয়ে অচিরে সেসব শিখতে
পারবে’।
তার জন্যও পাকা বন্দোবস্ত করা
হয়েছে।বলি,আকাশে কালো মেঘ
উড়ে বেড়াচ্ছে।তাকে ধরেই সেই
সাগরে ঝাঁপ দিতেও পারবে।