কান পেতে শুনি
আর দুর্যোগের প্রহর গুনি
অবিরাম আকাশ থেকে ধেয়ে আসে অশনি বার্তা
বিদ্যুৎ তরঙ্গের মতো শত শত ।
নিয়ত এসব শুনে ভাবি
বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তবিদরা আকাশ ও মহাকাশকে
করবে আর কত ক্ষতবিক্ষত ?
কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ থেকে এখনো হয়নি বিরত
বরং তারা গবেষণার কার্যক্রম বাড়াচ্ছে ক্রমাগত ।
শুনবে নাকি জীবন্ত প্রাণীর হৃৎপিণ্ডে
গুলি নিক্ষেপের মতো এসব ঘটনার ফলশ্রুতি ?
উৎক্ষেপিত বস্তুসামগ্রীর অজস্র ধ্বংসাবশেষ
এখন আকাশ ও মহাকাশে ছড়িয়ে আছে
নীল শাড়িতে শতসহস্র বুটিকের মতো।
জীব জগতের অবস্থা ?
এখন জিইয়ে রাখা জিয়ল মাছেদের মতো !
অচিরেই অবিরাম খাবি খাবে হয়তো ।
তারপর ?
কি জানি কখন কী ঘটে !
সব জেনে বুঝে মেনে নিতে কষ্ট হয়
তবুও সাধারণ জনগণ এসব  
মেনে নেওয়া ছাড়া কী করতে পারে ?
জানি, দুর্যোগ শিয়রে !
এই ঘটনাবলীকে অপ্রত্যাশিত বলি কী করে ?
অশনি বার্তা শুনে বিভ্রান্ত হই-না মোটে
জানি,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানব কল্যাণকামী
কিন্তু,কালো হাতের ছোঁয়া লাগলে কত কী ঘটে !
দুঃসময়!বাজপাখির মতো দুর্যোগ অসহায়দের
তাড়িয়ে বেড়ায়, এ সময় হচ্ছে ও তাই ।
বলি, ক’জন আর হিসাব রাখে
কতগুলো পরীক্ষামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ
বুলেটের মতো বিঁধেছে আকাশের গায় ?
ভালো নেই সেটি, দুঃখ কষ্টে জর্জরিত
‘জয়লক্ষ্মী’!আস্ত বাদামের ভিতর গচ্ছিত রাখা
তোমার হৃদয়ের ঘনীভূত কষ্টগুলোর মতো
সেও কষ্টেসৃষ্টে সেসব সইছে নিয়ত ।
কষ্ট হচ্ছে তারও ফেলতে নিঃশ্বাস !
বিশ্বাস, তুমি চুপ করে থাকবে-না মোটে
সময়কে সাক্ষী রেখে বলো ‘জয়লক্ষ্মী’
ক’জনের থাকে সেসব বোঝার অনুভূতি ?
ব্যথিত আকাশ!স্বজন চিনতে ভুল করেনি সে
সমব্যথী হিসাবে খুঁজে পেয়েছে তোমাকে  
উভয়ের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নিতে !
‘নাসা’-র মাধ্যমে তোমার ডাক এসেছে,
চলে যাও একাদশের ছাত্রী, ছোট্ট পক্ষীটি।
স্বাগত জানাই,তোমাকে ।
থাকবো তোমার ফিরে আসার অপেক্ষায়
তারপর !
তোমার কাছ থেকে শুনবো কেমন আছে সে!