শুনছো কি,খবর যোগাড় করে
উড়ে এসে কাকাতুয়া কী বলে
গেল মেঘলা দিবসে?
জেনেছে সে ভোটের ময়দানে
নামতে নাকি প্রার্থীর নাম ও  
প্রতীক দুটি জিনিস দরকার।
নয়তো নির্বাচন বন্ধ থাকায়
গঠিত হবে না সরকার।
কাকাতুয়া বললো সেদিন,‘নাম’
আর ‘প্রতীক’ শব্দগুলো নাকি
কোনও এক কল্পলোকে দু’মুখো
সাপের মুখগুলো চিহ্নিত করতে
কাজে লাগে।এই দুটি মুখ এক
দেহে থাকলেই সাপেরা সহজেই
খোলস বদলাতে পারে।
বলি,কতিপয় মানুষের সন্ধান
মিলেছে যারা দু’মুখো সাপের
মতো।সেই সাথে ভোটে লড়তে
খুব ভালোবাসে।ভোটের ঘণ্টা
বাজলে তারা তাদের কদাকার
মুখ বালিতে ঘসে কিছুটা সুশ্রী
সেজে নেমে পড়ে বেশ ভারী
কোনও দলের একটি প্রতীক
জোগাড় করার আশে।
সেদিন একটি চায়ের দোকানে
ক’জন লোক করলো বলাবলি,
কড়ির দৌলতে দলের প্রতীক
বরাতে জুটলে দু’মুখো সাপেরা
সাথে সাথে নেমে পড়ছে ভোটে
লড়তে।
কাকাতুয়া বললো,সে দেখেছে
খোলস বদলায় যারা স্বভাবে,
সেই দু’মুখো সাপগুলো নাকি
নিয়ত মিথ্যাচারে ভর করে
জনগণদের বহু আশ্বাস বাণী
শুনিয়ে ভোট কুড়োতে ব্যস্ত।
তারা একবার ভোটে জিতে
এলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে
সাথে নিজেদের খোলস বদল
করে নেমে পড়ে মস্ত বড়ো
দল বদলের খেলায়।
বিবাহ-বিচ্ছেদের মতো এখন
প্রায়শ: নির্বাচিত প্রার্থী এবং
দলের বিচ্ছেদ ঘটছে নানান
অজুহাতে।দল বদলের খেলায়
ভোটারদের ভোটের মর্যাদাও
হারাচ্ছে সেই সাথে।
হতবাক জনগণ তখন আর
করবে কি?সপাটে নিজেদের
গালে চড় কষিয়ে ভাবে ভোট
দিলো সাপের কোন মুখ দেখে?
জনগণের দুর্ভাগ্যের কত আর
বলবো?সাপদের এ খেলা বন্ধ
হতো যদি দুটো মুখের কোনও
একটিকে শক্ত ঝামা দিয়ে ঘষে
দেওয়া যেত।
তখন এই সাপদের আর ভোটে
চাই না,এ কথাটি ভোটারদের  
বলতে হতো না।