ভেবেছি, এ কী দিনকাল!
সকাল হলেই রোজ খবরে যেসব ঘটনা শুনি
মনে হয় দিন দিন বাড়ছে এ রোগ।
ভয় হয় অচিরে ছড়াবে কি মহামারীর মতো?
জেনেছি, যত দিন গড়াচ্ছে বাড়ছে এ রোগ
একেবারে পঙ্গপালের বংশবিস্তারের মতো
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মনের গভীরে করেছে ক্ষত।
জানা গেল অনুসন্ধান করে এ দশা নাকি হয়
হারালে মানবতাবোধ অপরের প্রতি হিংসায়
কিবা নিজের ক্ষমতা বিস্তারের লোভ লালসায়।
এ রোগের লক্ষণ? বাড়ে খুবই হৃৎস্পন্দন
তখন বুকের ধড়ফড়ানি সহ্য করাও কষ্টকর।
খবরে প্রকাশ যদিও বড়বাবুর
অস্ত্র বিক্রির মাদকতা আগেও ছিল
যত দিন গড়ালো তার সাথে যুক্ত হলো হিংসা,
তার ক্ষমতার আস্ফালন? সেও মাথা চাড়া দিলো।
লোকে বলে সেসব কারণে ইউক্রেনে যুদ্ধ বেঁধেছে
এমন কাণ্ড এ বিশ্বে আগেও বহুবার ঘটেছে।
বাবুর এখন দিশেহারা হওয়ার যোগাড়।
কাশতে কাশতে সারাদিন হয়রান
জান উগরে দেওয়ার মতো অবস্থা!
বেড়েছে বুকের ধড়ফড়ানি
ক’দিন তো তার একেবারে ঘুম হয়নি,
সারারাত কাটলো অনিদ্রায়।
মনোবিদ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন
তিনি এ রোগে আক্রান্ত, হারিয়েছেন মানবতাবোধ।
সেকথা শুনে তার মাথায় বাড়লো চিন্তা
এমনি অবস্থা সকালে আয়নায় দেখতেন
কপালের ভাঁজে ভাঁজে পড়ছে চিন্তার ছাপ!
হাফ ছেড়ে একটু বাঁচারও নেই উপায়।
লোকে বলে বাবুমশাই নাকি খুব শিক্ষিত
শত শত বই ঘেঁটে জানলেন
এ রোগের একটাই দাওয়াই।
যখন যে কেউ বেরোবে কোনও শুভ কাজে
নিজের নাক কেটে সটান দাঁড়ালে তার সামনে
সে ব্যক্তির যাত্রা ভঙ্গ হবে
তখনি রোগাক্রান্ত ব্যক্তির কমবে রোগের উপসর্গ।
শুনেছি বাবুমশাই এ নিদান পেয়ে এখন খুব খুশ
রোজ ঘুম থেকে উঠেই দাঁত বুরুশ করে
লেগে পড়েন এ কাজে।