বলবো কী আর এখন ভাবতেও কষ্ট হয়
বুদ্ধিভ্রমে আর্থিক ব্যয়ভার বহনের সংগতি
হারালে সে যারই হোক কোনও ব্যক্তির,
রাজ্যের কিবা রাষ্ট্রের তখন ঘটতে পারে
কত কী!
দৃষ্টান্ত?জেনো,সে দেখার জন্য হন্তদন্ত হয়ে
এদিকে সেদিকে ঘুরে বেড়ানোর দরকার
হবে না। দেখতে পারো শ্রীলঙ্কার দিকে,
রাষ্ট্রটি বিপাকে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে যেন
পাঁকে।অনেক আর্থিকভাবে দুর্বল রাষ্ট্রকে
ভাবতে হচ্ছে এই অবস্থা দেখে।
জনমোহিনী গুচ্ছ নীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রে সহ
বহু রাজ্যের রাজনীতিতে আগাছার মতো
গজানোয় সেসব স্থানেও অচিরেই দাঁড়াবে
এমন জটিল পরিস্থিতি,বৈকি।
কে,কবে দেখেছে অভুক্ত বিড়ালেরা খিঁদের
তাড়নায় ম্যাও ম্যাও করলেই ননীর সিকে
ছিড়ে?
ভাঁড়ে মা ভবানী,এ অবস্থায় সংসার,রাজ্য
কিবা রাষ্ট্রের সব দায়ভার প্রাপ্তরা ভাববে
কবে তাদের মুখাপ্রেক্ষিদের কষ্ট লাঘবে কী
করবে সংকট জনক মূহুর্তে?
দাঁতে দাঁত চেপে কষ্ট সয়ে উপার্জন বৃদ্ধির
পাশাপাশি ব্যয় সংকোচন ছাড়া সব ক্ষেত্রে
আর গত্যন্তর কী? হাড়গিলে শরীর নিয়েও
নিজেদের আয়-উপার্জনের সামর্থ্য বাড়াতে
হবে,বৈকি।
নাকি,আর্থিক সাহায্যের জন্য অল্প সুদে ধার
চেয়ে তীর্থের কাকের মতো সব মহাজনের
দিকে মুখিয়ে থাকবে?
শোষণ স্বভাবেই, বলতে পারো, কে কবে
নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে?
বন্ধু সেজে ক’জন আসে, ক্ষতে জরিবুটির
প্রলেপনের মতো যেন কোনও সেবামূলক
কাজের উদ্দেশ্যে?
ধীরে ধীরে ঋণের ফাঁদে আষ্টেপৃষ্টে জড়ালে
সে সময় ধরা পড়ে বন্ধুদের যথার্থ মুখশ্রী।
স্বপ্নভঙ্গের মতো যাই ভাবো না কেন,এর
অন্যথা হবার আর কী আছে?
দেখো! দেখো,আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে
গেছে।এ অপরাহ্ণে যেন কালবৈশাখী ঝড়
ভল্লুকের মতো ছুটে আসে।
জেনো,পদ দলে পিষে মারার জন্য শুধু
ভিন্ন রাষ্ট্রের দরকার হয় না,চোখ খোলা
রাখলে দেখবে যেখানেই অর্থ লেনদেন
চলে সে স্থানেই খুঁজে পাবে এর ঠিকানা।