বললো কাকাতুয়া, ‘স্বাধীনতা’ শব্দটা বেশ শোনা,
চারিদিকে ঘুরে বেরালেও তার সাক্ষাৎ পেলো না।
কে জানে, তার অবয়ব কেমন, যদি থাকে!
যদি না থাকে, অনুভূতিতে বুঝতে হলে তাকে
জানতে চেয়েছিল কেউ তার হদিশ পেয়েছে কিনা।

বাসনা যখন বিছার মতো মনকে কামড়ে ধরলো
পাখি যন্ত্রণা সহ্য করতে না-পেরে ছটফট করলো
ভাবলো একটু স্বস্তি যদি পেতে হয়
তার হদিশ করতে না-বেরলে নয়
অগত্যা ডানা মেলে সে তারি সন্ধানে বের হলো।

‘দেখেছে কি স্বাধীনতাকে?’ প্রশ্ন করলো জনে জনে
স্বাধীনতার ছোঁয়া পেয়েছে এমন কারো হদিস জানে?
পাখি সেই উদ্দেশ্যে কোথায় না উড়ে গেছে
জল, বায়ু, বিদ্যুৎ, তাপকেও জিজ্ঞেস করেছে
বলেছে তোমরা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও মুক্ত মনে।

তোমরা কে কে নিজে স্বাধীনভাবে চলতে পারো?
জল, নিচ থেকে উপরে কি গড়িয়ে যেতে পারো?
বায়ু, নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে উচ্চচাপ অঞ্চলে
বিদ্যুৎ, নিম্ন-বিভব থেকে উচ্চ-বিভব অঞ্চলে
তাপ, নিম্ন থেকে উচ্চ উষ্ণতার দিকে যেতে পারো?

সে জিজ্ঞেস করেছে পরমাণুর কক্ষচ্যুত ইলেকট্রনকে
বাদ দেয়নি প্রোটন, নিউট্রিনো ও কোয়ার্ক দিগকে
তাদের কেউ কি স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে?
চেটে খেয়ে স্বাদ আস্বাদন করতে পেরেছে?
উত্তর শুনে ভাবলো পাখি তার প্রচেষ্টা বৃথা হলো।

হলো কী? তারা সকলেই মাথা নত আছে কেন?
তবে কি তাদের কেউ স্বাধীন হতে পারেনি এখনো?
‘স্বাধীনতা’ এক অলীক স্বপ্ন রয়ে গেল
মানুষ তার পিছনে অযথা ছুটে বেরালো
ভাবলো পাখি তন্নতন্ন করে খুঁজতে বাকি এখনো?