ভ্রান্তিতে  ও স্বেচ্ছাচারিতায় যা করেছি
ভাবছি অনর্গল। বুঝেছি জীবন বিকল
যন্ত্র হতে লাগবে না আর বেশি সময়!
নির্দয়তার কারাগারে বন্দী দশায় এখন
অনাদায়ী ঋণের বোঝা বইবো কী,সেই
সামর্থ্য নেই আর। বড়ো অসহায়।
ভাবি,তোমার সাথে সখ্যতা ছিল। দেখা
হতো দু’বেলা। তোমার কোলে মাথা রেখে
সুখ দুখের কত কথা হতো বেলা-অবেলা।
সে সময় দু’বাহু বাড়িয়ে জড়িয়ে রাখতে
তোমার প্রেমের আলিঙ্গনে।
বাঁচার কোনও সমস্যায় বিদ্ধ হলে তার
সুরাহা করতে নিজে। এ কাজে ছিল না
ছলাকলা।বলা ভালো,তোমার স্নেহ-লতার
পরশে সমস্যা মিটলে আনন্দাশ্রু ঝরতো
আঁখি কোল বেয়ে।
মতিভ্রম! অনিন্দ্য সুন্দর প্রেম-ভালবাসা
ছিল। পরবর্তী কালে তাকে মূল্যহীন ভেবে
ডুবিয়ে দিয়েছি জলে। বেঁধেছি তোমাকে
অত্যাচারের শৃঙ্খলে।
তোমাকে ঠেলে পাঠিয়েছি দূরে, আরও
দূরে একেবারে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
আজ তুমি আর পাশে নেই স্নেহাস্পর্শ
যোগাতে,বিরহের ক্ষতে বিশল্যকরণীর
প্রলেপন দিতে। সেই স্মৃতি কুঁড়ে কুঁড়ে
খায় গভীর বেদনায়।
হয়তো ফিরবে না আর।বেদনার স্মৃতি
বয়ে বেড়াতে হবে চিরকাল।
কালসিন্ধুর উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে
তীরে এসে। জানো,বাঁচা দুষ্কর। হয়তো
দূর থেকেও শুনতে পাচ্ছো জীবনরথের
চাকার কড়কড় শব্দ।
রথ থামার আগে তোমার কাছে ক্ষমা
প্রার্থী। যেখানেই থাকো যে দুর্ব্যবহার
করেছি তোমার সাথে সে জন্য ক্ষমা
করো ‘বন-বীথি’।