‘কবিতা!মগজে আসে না,লিখবো কি সে?’
-বললো সে,‘ভুখা পেটে কি ছন্দ আসে?
বলো,বাস করি কোন সে বিশ্বে?  
এ বিশ্বে,ক’জন লোক আর সোজা আছে?
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অধিকাংশ মানুষ তো ঘোর অপুষ্টিতে চিংড়ির মতো বেঁকে গেছে।
এ অবস্থার জন্য তাদেরি বা দোষ কিসে?’
তার এ-কথার সত্যতা যাচাই এর জন্য
অভুক্ত কিংবা আধপেট খেয়ে যে লোকজন
কোদাল,শাবল,হাতুড়ি কিংবা গাঁইতি নিয়ে
খাটা-খাটুনি করে রোজ দিনভর,
তাদের কাছে ছুটে গেছি কবিতার খোঁজে।
তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখেছি তাদের জীবনও কবিতা,
তাদের জীবনেও প্রেম আছে,বিরহ আছে,
আছে জীবনবোধ,মানবতা-বোধ এবং
দেশাত্মবোধের মতো অনুভূতি,
সহস্রধারার মতো অবিরাম বইছে মগজে।
আর সেসবও ছন্দে ভরপুর।
বুঝেছি,উল্কার মতো ছন্দ-বিহীন হয়ে বাঁচা যায় না।
কিংবা,ছন্দ-বিহীন বিশৃঙ্খল হলে বজ্র-বিদ্যুতের মতো
বিলুপ্ত হতে হয় সহজেই।
অনাহারে কিংবা আধপেট খেয়ে আছে যারা,
তাদের জীবনও কবিতা,ছন্দে গাঁথা।
কবিতা না হলে উল্কার মতো খসে যেতো।
পৃথিবীর বহু সেরা কবিতা,
সুকান্তের মতো ভুখা মানুষদের মুখ থেকে বেরিয়েছে।