রোগভোগে অপারগ দেহে তীব্র যন্ত্রণা
শিয়রে কেহ নাই বিপদে দিতে সান্ত্বনা।
বদ্দি চুপিসারে এসে ছুঁয়ে মোর হাতটা
জানতে চাহেন-কেমন আছি-‘কোলকাতা’?
বলেছি হাত নেড়ে-মন ভারি নিরানন্দ
টিকে আছি,মোর দেহময় শবের-দুর্গন্ধ।
জিজ্ঞাসে বদ্দি মশাই-অসুখটা কি ভারি?
বিষম যন্ত্রণায় কাতরে বলেছি-রকমারি।


মোর ফুসফুসে অ্যালার্জি অ্যাজমার বাস    
হৃদযন্ত্র জুড়ে ক্যান্সার-হয়তো স্কোয়ামাস।          
আর্সেনিকের দূষণে পেটের অসুখ,চর্মরোগ
জানিনা সহিতে হবে কত কি রোগভোগ!    
রোজ খাই অ্যান্টিবায়োটিক সহ কত কি
বদ্দিকে জিজ্ঞেস করি-নিরাময় হবো কি?
ক’দিন বাঁচবো?-জিজ্ঞেস করেছি বদ্দিকে
নিরুত্তরে তিনি চলে গেছেন নত-মস্তকে।


বুঝি মিটবে সেসব আত্ম-সমাপনে,মরণে      
দেহ বলি দেবো ধরণীতে পরিবেশ দূষণে।
জলা ভূমির পরে গড়ে উঠলে ফ্লাইওভার
বাইপাস থেকে নিউটাউনে সহজে যাবার
পথে নিশ্চিত কমবে সময় ও সড়ক পথ।
দক্ষ কারিগর তৈরি করেন শব-বাহী রথ।
ভাবি,সেই রথে পাড়ি দেবো মরণের পরে
শব-বাহী যানে চলে যাবো শ্মশানের তরে।