শুনেছ, এই তো সে দিন কাকাতুয়া
এসে বললো হায়েনা চেহারা বদলে
চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
দুর্নীতি, সে নাকি ওর-ই এক প্রজাতি,
কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ওর
জীনগত পরিবর্তনের ফলশ্রুতি।
এই প্রজাতি নাকি কোনও বাহক খুঁজে
তার ঘাড়ে পিঠে চেপে বসে মজলিশে
চারদিকে ঘুরে বেড়ায় আর সমাজকে
চিবিয়ে খায়।
শিক্ষাঙ্গন? তারও নিস্তার নাই।
শুনেছ খবরে হালে এই হায়েনা চেপে
বসেছে কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্যের ঘাড়ে পিঠে আর সমাজকে
ছিঁড়ে খাচ্ছে?
হায়নাদের কত অত্যাচার আর সহ্য করা
যায়? দেখো, জনগণ প্রতিবাদে একসাথে
পথে নেমেছে।
ভাবছো উপাচার্যের হলো কী? সেও এর  
বাহক হলে ছাড় পায় কি? তাকেও যেতে
হলো জেলে।
এ হায়না যেভাবে সমাজকে ছিঁড়ে খাচ্ছে
তাতে মনে হয়, জোঁকে দেহের সব রক্ত
শুষে খেলে সে উৎপাত এর চেয়েও কম
হয়।  
খবরে জেনেছি, এ হায়েনা করছে এমন
কত কী!
উপাচার্যের এ ঘটনা ভাবনাকেও উস্‌কে
দিলো। জানতে ইচ্ছা হলো আগে এমন
নজির ছিল কিনা।
বলবো কী, এই তথ্যটি জানার তাগিদে
মগজে চিরুনি তল্লাশ করেছি খুউব, তবু
এমন নজির পাইনি খুঁজে।
দেখছ, আকাশের মেঘেরা করছে কী?
মনে হয়, হায়েনার ভয়ে ওরা দিশেহারা।
হয়তো বাঁধছে জোট। ওদের গুরু গুরু
ডাক শুনছ?
ভাবছো, ঝড়ঝঞ্জা হবে কি? সে ও হতে
পারে, বৈকি!
রাতদিন ভাবি, তবু পাই না কূলকিনারা,
কিভাবে এ হায়েনা সমাজ ও সংস্কৃতিকে
ছিঁড়ে খাচ্ছে।
ওই দেখো, হাতে গরম উপাচার্যের এই
খবর পেয়েই বিশ্বের সব সংবাদমাধ্যম
করছে কী?
ওরা কি আর চুপ করে থাকতে পারে?
ঠারেঠোরে এ ঘটনা জানার পরে ওরা
শুরু করেছে প্রতিযোগিতার দৌড়।
জোড় চেষ্টা করছে কে, আগে সে খবর
লুফে নিয়ে সম্প্রচার করতে পারে।
দেখছ টিভির খবরে এ ঘটনা আসতে
দেরি হলো না।
দেখো টিভির পাশে দেওয়ালে বসে এক
টিকটিকি করছে কী? টিক টিক করছে
কেন?
কে জানে, হয়তো কাকতালীয় ব্যাপার।
এ কথাটি বলাও দুষ্কর ওর এই ডাকের
সাথে এ খবরের কোনও সংযোগ আছে
কিনা।
শুনছ কী, এ খবর শুনেই ছি-ছি করছে
লোকে। দুখে ও ঘৃণায় হাটে বাজারেও
সকলে করছে বলাবলি, এ কোন দেশে
ঘটছে হায়েনার এই কাণ্ড খানা!