বানরের উৎপাত,দেখো,রোজ একেবারেই
সাত সকালে!
দীর্ঘদিনের উদাসীনতা কিংবা বানরের প্রতি
অতি সৌহার্দের ফলে এত দূর গড়ালো জল,
বিনাশ করছে বাগবাগিচার ফলমূল।
এখন চাষিদের চক্ষুশূল,সহ্যের সীমা ছাড়ালে
যা হয়,তারস্বরে চিৎকার করে সকলে বলছে,
‘এযাবৎ যা হলো সবই ভুল’।
বিলম্বে বোধোদয়!তবুও ভালো।আগেই বুনো
বানরকে প্রশ্রয় না-দিয়ে এই বাগবাগিচাটির
থেকে উৎখাত করলে ভালো হতো ।
বুঝছে ‘এ ভাবে টেকা দায়!’,সব ফলফলাদির
ক্ষয় ক্ষতি দেখে কপাল চাপড়ায়।
অজানা আতঙ্ক,ভয়-ভীতি রোজ তাড়া করছে
চাষিদের ঘরে ঘরে,কী দেখবে রাত পোহালে!
আওয়াজ তুলছে, ‘এবার সাজা দিতেই হয়।
বানরের লেজ টেনে ধরা দরকার’।
ওই দেখো,সেটি এদিকে তাকাচ্ছে,গাছে বসে।
বলি, ‘বুঝবে,যখন সেটি কষিয়ে দেবে চড়’।
তাহলে বাঁচার উপায়?-শলাপরামর্শ চলছে!
হাল আমলের পেগাসাসের পাশাপাশি ঘরের
দেওয়ালেরও কান আছে,একথাটি, জেনো!
দরজাটা বন্ধ রাখাই ভালো।