শোনো গৃহস্থদের পোষ্য হুলো আর
মেনি বিড়ালের দিকে সর্বদা কড়া
নজরদারি না-রাখলে কত কী যে
সমস্যাও ঘটতে পারে!বলবো কী,
এই তো ক’দিন আগে বিড়ালেরা
শলাপরামর্শ করে নন্দী পাড়ায় কী
ঘটনা না ঘটালো গৃহস্থদের উপর
রেগে।
বলি শোনো,পোষ্যের প্রতি গৃহস্থের
মমত্ববোধ ভালো,কিন্তু কিছুই অতি
ভালো নয়।ভাবি,ভালোবাসা কোন
চূড়ায় পৌঁছলে একবার মাত্র ওদের
ম্যাও ম্যাও ডাক শুনে তারা দুধের
বাটী নিয়ে তড়িঘড়ি হন্তদন্ত হয়েই
ওদের কাছে ছুটে আসে।
সে না-হয় হলো।ওদের চিৎকারের
আগেই না-হয় পাড়া জুড়লো।তবে
এটুকু বলে রাখা ভালো,হুলো আর
মেনি যে সুদীর্ঘকাল আগে থেকেই
মাছ চুরি করে খাওয়ার অভ্যাসকে
রপ্ত করেছে গৃহস্থ বাড়ির কেহ সে
খবরটুকুও রাখেনি কখনও।
বলি,অতিশয় প্রশ্রয়ে কত কী ঘটে!
বিড়ালেরা করিতকর্মা বটে।একবার
নাকি মেনি রেগে সতীর্থদের নিয়ে
একজন সম্মানীয় ব্যক্তির চেয়ারটা
দিয়েছিল ভেঙ্গে।
এ কথা শুনেছি দীর্ঘদিন গৃহস্থদের
অন্ধ প্রশ্রয়ে ওদের লালসাও বেড়ে
এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শেষে
গৃহস্থদের কাছ থেকে নাকি জোর
জবরদস্তি করে মাছ কেড়ে নিতে
গিয়ে ওরা অল্পবিস্তর প্রতিরোধের
মুখোমুখি হলে গৃহস্থদের শরীরেও
আঁচড় কাটতে একটুও দ্বিধা বোধ
করেনি।
বলি শোনো,শেষে কি জানি কবে
কী হলো চুরির ভাগ বাটোয়ারা
নিয়ে হুলো আর মেনির হলো না
বনিবনা।ক্রমেই বাড়তে লাগলো
ওদের বিয়াদিপনা।
বলি শোনো,কাছ থেকেই নিশ্চয়
দেখেছো সেদিনের কাণ্ডকারখানা।
বনিবনা হলো না বলেই ওদের
ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছলো যে
উভয়ে অগ্নিশর্মা হয়ে কে কয়টা
মাছ চুরি করেছে ও কে,গৃহস্থের
ক’টা শিকে ছিঁড়েছে সব গোপন
তথ্য ওরা জনসমক্ষে ফাঁস করে
দিয়েছে।
বলি,ওদের বাক্‌বিতণ্ডা শুনে মনে
হলো গৃহস্থদের ক্ষয় ক্ষতি অনেক
হলো।এবার ভাবতে হবে,তাদের
এখন কী করার আছে?