একটা কালো রাত্তির মুখ দেখেছি আমি।
সে উল্লাসে কৃষ্ণ-গহ্বরের মতো গোগ্রাসে
গিলছে মানুষের চেতনাকে।বিভ্রান্তি এতো
দূর গড়ালো আজও আমরা সরে আসতে
পারিনি সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশা থেকে।
ইদানীং দেখি কোন বিষয় আর উদ্রেক
করে না পোড়া ছাই এর মতো মগজে।
ঝড় তুফান এলে ও ভস্ম গুলো নড়াচড়া
করে না।দেখেছি নতুন বিষয় ভাবনায়
দীপশিখা ও জ্বলে না।
সমগ্র বিশ্বে ভয়ানক করোনার প্রকোপ।
শুনি, প্রতিদিনই মরছে শত শত্ মানুষ।
শ্মশানে বাজছে সানাই।দুঃসময়!মনে হয়,
পঙ্গপালেরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে তেড়ে।
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তছনছ করবে সোনালী
ফসল।
তবুও চুপচাপ বসে চারিদিকে তাকিয়ে
দেখি অবাক বিস্ময়ে।ভাবি, বিভ্রাট হলো
কিনা মগজে।সামনেই মৃতপ্রায় কে যেন
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।চিনতে ও পারিনি
তাকে।
সহস্র পিপীলিকা গর্ত থেকে বেড়িয়ে এসে
ভিড় করলো তার চারদিকে।ওরা বললো,
মৃতপ্রায় এই ‘মানব সভ্যতাকে’ওরা টেনে
হিঁচ্‌ড়ে নিয়ে যাবে ওদের গর্তের ভেতরে।
দীর্ঘদিন ধরে ওদের খাদ্যের সুরাহা হবে।
দুঃখে বিদীর্ণ হয়েছি এই কথা শুনে।তখন
ভেবেছি,করবো তার আরোগ্য কামনা।যে
ভাবেই হোক সুস্থ করতে হবে তাকে।
কিন্তু আমি নিরুপায়।এখনও আত্ম-শুদ্ধি
হয়নি আমার।মন্দির,মসজিদ,গির্জা কিবা
ভিন্ন কোন দেবালয়ে শুচি-শুভ্র মন নিয়ে
তার আরোগ্য কামনায় আরাধ্য দেবতার
কাছে যাবার ও নেই উপায়।
বুঝেছি,আত্ম-শুদ্ধি করতে হবে আগে।