অশেষ জীবন-যন্ত্রণায় দহে
আজ আমি অশান্ত এক ষোড়শী
এই সভায় নবীন প্রজন্মের
দৈন্য দশা শোনাতে এসেছি।


চিলদের মতো ছোবল টা মেরে
আমাদের শৈশব ছিনিয়ে নিয়ে
নির্দয়তায় থর মরুভূমির
উতপ্ত বালুকায় দিয়েছ ছুঁড়ে।


তোমরা সংকীর্ণ কপট স্বার্থে
নিজেরাই রয়েছ নেশার ঘোরে
পরিবেশ দূষণে সমাধান সূত্র
থেকে শত সহস্র যোজন দূরে।


বাস্তু তন্ত্র নিয়ন্ত্রনে তোমাদের
ব্যর্থতার স্মৃতিচিহ্ন চারিদিকে।
এই ব্যাপারে ধিক্কার জানাচ্ছি
তোমাদের সব অপপ্রচেষ্টা কে।


তোমরা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বায়ুর
চেয়ে এখানে সবাই নিজেদের
দেশের আর্থিক লাভ-ক্ষতি কে
বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জনসমক্ষে।


নবীন প্রজন্ম জীবন মরণের
সন্ধিক্ষণে তোমাদের মুখাপেক্ষী।
তবু তাদের চরম দুর্দশায়
আজকে তোমরাই নীরব সাক্ষী।


দুর্যোগে এই আবহ ঘন ঘোর
নবীন প্রজন্ম এখন তৎপর
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাত জেগে
নজর রাখছে তোমাদের উপর।


আজ এই ধূসর ধরার বুকে
দাঁড়িয়ে জীবন যন্ত্রণায় রাগে
তোমাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি
ধুঁকে ধুঁকে সবার মরার আগে।


তাকিয়ে দেখো নবীন প্রজন্মকে
বর্গীদের মতো নিশান উড়িয়ে
ওরা লাল সংকেত বার্তাটি দিতে
জোরে ছুটে আসছে তোমাদের দিকে।


সবাই আসছে দূর-দূরান্ত থেকে
তোমাদের আর্থিক উন্নয়নের
রেসে তোমাদের হাতের বাটনটা
কেড়ে নিতে মুষ্টিবদ্ধ হাত থেকে।