আজব এক দেশ ঘুরে এসে কাকাতুয়া
যোগাল সন্দেশ,বিশেষ একটি কাহিনী
যা শুনলে সে দেশের তারিফ করবে  
কিনা সন্দিহান হতে হয়।
যে কথাটি না-বললেই নয়,সে দেশে
বাস করে অসংখ্য উলঙ্গ প্রজা।খাজা,
গজা আর লালিপপ পেলেই সব কিছু
ভুলে খুশিতে মেতে ওঠে তারা।খবরটা
ছড়িয়েছে সসাগরা।
সে দেশে দেবদেবীদের মাহাত্ম্য নিয়ে
রয়েছে নানান ভাবনা।অনেকেই বলে,
মূল্যবান কোনো সামগ্রী চুরি গেলেও
লালিপপ প্রসাদ খেলে সকলেই নাকি
হারিয়ে ফেলে তাদের বিচার বিবেচনা।
উদ্ভট কাণ্ড নয় কি?তবু লোকে টুঁ-শব্দ
করে না।
চুরির সামগ্রী কোথায় যায়,ভাবছো
নাকি?দুস্থ মানুষেরা তাদের সংসার
সামলাতে দিনভর পরিশ্রমের পরে
অন্তঃসলিলার জলধারার মতো সেই
চুরির সামগ্রী কোথায় যায়,রাখে কী
আর তার কোনও খবর?
সেসব ভাবতে গিয়ে হয়তো হারাতে
বসেছ ছা-পোষা অভুক্ত বিড়ালদের
খবরাখবর।বেহাল দশা।প্রায়শ ওরা
অভুক্ত থেকে হারাচ্ছে ওদের বাঁচার
ভরসা।
উচ্ছিষ্ট টুকুও যোগাতে না-পারায়
অনাহারে রাতদিন রাস্তার ফুটপাথে
বসে দেখে রাজবাড়ির মন্দির থেকে
পাঠানো লালিপপ খেয়ে-ই প্রজারা
আনন্দ উল্লাসে মেতে ওদের কাছ
থেকে দূরে সরে গেছে।
‘এই দেখে কাঁদবো,না হাসবো,নাকি
তাদের তারিফ করবো,ভেবেও পাই
না’-বলেছিল কাকাতুয়া।
এখন ক্ষুধার তাড়নায় ওদের আর
কী করার আছে?সামান্য উচ্ছিষ্টের
জন্যও রাজবাড়ির ভৃত্যদের কাছে
ম্যাও ম্যাও করে তোষামোদ করা
ছাড়া ছা-পোষা অভুক্ত বিড়ালদের
আছে কি আর বাঁচার আশা?