‘সব কিছু গেছে ঋণে’-এ কথা
শুনে সংশয় জাগছে কি মনে?
সংশয় ঘোচাতে খুলে বলতেই
হয় সব বিষয় সম্পদ হারিয়ে
সমাজ জড়িয়ে পড়েছে ঋণের
জালে।আরও কত কি যে লেখা
আছে তার ভালে,কে  আর এই
খবর রাখে?
চারদিকে খোলা চোখে দেখি
নষ্ট হয়েছে ব্যাপক মেধা শক্তি,
হারিয়েছে বহু মানব সম্পদ,
বাদ যায়নি দেশের প্রাকৃতিক
সম্পদও।তার ভাঁড়ে মা-ভবানী,
পড়ে আছে নুড়ি,পাথর।নাড়লে
বেড়িয়ে আসে খর খর শব্দ।
বলতেও কষ্ট হয় এই অবস্থা
হলেও অবিবেচক চোরদের কী
যায় আসে?
তাদের বাঁচার জন্য আছে বিস্তর
আইনের ফাঁকফোকর।তারা
জালে ধরা পড়লে জাল ছিঁড়ে
পালাবার জন্যও খোলা আছে
করিডোর।
দেখো,সামনে উন্মুক্ত প্রান্তরে
ডানা মেলে উড়ে যাবার জন্য
তৈরি হয়ে আছে চার্টার বিমান।
এ সমাজের যা হালচাল,এসব
কিছু মনে হয় না বেমানান।
ওই দেখো,চোরদের যাত্রার
প্রাক্কালে তাদের মঙ্গল কামনায়
গঙ্গাজল ছড়াতে কমণ্ডলু হাতে
দাঁড়িয়ে আছে গুরুদেবরা,সাথে
তাদের বেশ কিছু যজমান।
তথ্য তালাশে আগুয়ান বেশ কিছু
পুলিশ-কুকুরের পিছু ছুটে জানা
গেছে,এই সমাজ ঘুমিয়ে আছে
সুদীর্ঘ কাল।তার জেগে ওঠার
জন্য এখনও হয়নি সকাল।
অনুশাসনের অভাবে আইনের
ফাঁকফোকর দিয়ে আঁধার রাতে
তার বহু সন্তান চলে গেছে
বিপথে।তারা আজ এ সমাজে
খাচ্ছে লুটেপুটে।
রোগগ্রস্ত সমাজের শরীরে তাই
ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার।এই
অবস্থায় লেজার অপারেশন করা
ছাড়া গত্যন্তর কোথায়?