যুগ-যুগান্তর ধরে নির্বাক থেকে  
সঁপেছো নিজেকে লেখকের হাতে।
কোটি কোটি লেখকের আজ্ঞাবহ
হয়ে রয়েছ নিয়ত তাদের সাথে।


ফোয়ারার সম উদ্ভাবনী শক্তিকে,    
নরনারীদের উদীয়মান চেতনাকে      
তব অন্তরের নির্যাসে লিপ্ত করে  
অর্থবহ করেছো অক্ষরে অক্ষরে।


তুমি সমালোচকের শানিত অস্ত্র  
কত অত্যাচারীকে করেছ বিবস্ত্র।
দার্শনিক,কবি,সাহিত্যিকদের বন্ধু  
তব অন্তরে রহে মসীর মহাসিন্ধু।


আন্তরিক প্রয়াসে গড়ো দিবারাত্র
মানবতার সেতুবন্ধনের এক সূত্র।
মানবের সুখ-দুঃখ,স্বপ্নের কাহিনী
বর্ণিত করো নিয়ত,ওহে লেখনী!


শুনছো নিরবধি প্রেমের কাহিনী  
বিরহ বিচ্ছেদের অসংখ্য শুনানি।
দুঃখাতুরা অন্তরের নির্যাস ঢেলে      
সমুদয় লিখে রেখে যাচ্ছো চলে।    


লেখককে দিয়েছ সীমাহীন প্রশ্রয়
বলেছো,‘আনন্দে লিখুন মহাশয়’।
লেখক লিখবেই বিশ্বের ইতিহাস
অন্তরে বহিছে নিত্য এই বিশ্বাস।