এ বঙ্গে ঋতু রঙ্গে বারবার
ফিরে আসে ফাগুন মাস।
এ সময় অন্তরে জেগে ওঠে
ব্যাপক উচ্ছ্বাস।
প্রকৃতির এ কী আয়োজন!
রাঙা পলাশের আগুনে জ্বলে
পলাশ বন।প্রভাতে রক্তিম
রবির কিরণে প্রকৃতি স্নাত
হওয়ার সাথে সাথেই যেন  
শুরু হয় প্রেমের স্পন্দন।                      
ভাবতেও অবাক লাগে,এই
সময় সকল নন্দন কাননে
প্রকৃতি প্রেমের কী বিশাল
আয়োজন!
বৃক্ষরাজি কিশলয়ে ভরপুর,
আম্রকুঞ্জে হাসে আম্রমুকুল।
বুঝি না এ-কার প্রেম স্পর্শে
মৌমাছি গুনগুন গান গায়,
বঙ্গের নদীরা এ সময় বহে
কুলকুল।
সন্দিগ্ধ মনে এ-প্রশ্ন জাগে,
‘বংশীবদন এ সময় কালে
কি নীরব থাকতে পারে?
বিশ্বের প্রকৃতি ও পুরুষকে,
কে রাখবে ঐক্যবদ্ধ করে'?
দেখো,চারিদিক দৃষ্টিনন্দন।
এ পরিবেশে আবেগের বশে,
প্রকৃতি প্রেমের নন্দন কাননে
অনিন্দ্যসুন্দর অক্ষয় প্রেমের
ধারক শ্রী হরি বাজায় বাঁশরি।
শোনো,তারি বাঁশির সুরের
লহরীতে সম্পৃক্ত প্রেমের কী
অসীম আকুতি।সুমধুর সেই
গানের সুরের লহরির নেই
কোনও বিরতি।
লহরির ’পড়ে লহরি ছড়ায়
মনোমন্দিরে।প্রেমের আকুতি
সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে।শান্ত
মনে শোনো মনের গহীনে
বাজে তার অনুরণন।
সে মাঝিমাল্লার মতো প্রবল
শক্তিধর।ভাবতেও অবাক
লাগে,সে কী স্বচ্ছন্দে সব
নরনারী দের জীবনতরীকে
বয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রেমের
জোয়ারে।