শৈশবে সবার হৃদয় কোরকে
হিল্লোল জাগে ঊষাকাল থেকে।
নতুনের সাথে নিয়ত মিতালি
প্রজ্বলিত হয় জ্ঞানের দীপালী।
কৈশোরে প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর
স্বপ্ন-স্রোতে ভেসে যায় সুদূর,
বাড়াতে চায় জ্ঞানের পরিসর
কর্ম-চঞ্চল বলে নেই অবসর।
যৌবনে ছোটে অধরার পিছু
প্রতিদিন বাসনা জাগে কিছু।
অন্তরে প্রতিষ্ঠা লাভের স্পৃহা
পরাজয় স্বীকারে কী অনীহা!
বিশ্বকে মুঠিতে ধরতে চেয়ে
অধরার পিছনে ছুটতে গিয়ে
অনিদ্রায় কাটে কতক রাতি
অদম্য ইচ্ছা যৌবনের সাথী।
গরিমা লাভের স্পৃহায় মজে
ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহসিক কাজে।
কাঁধে নেয় সংসারের ঝোলা
কর্মের ভারে প্রাণান্ত দুইবেলা।
যুবক সারাদিন কাজে বিহ্বল
বিষয় বাসনায় সে অবিচল।
জীবনের সংগৃহীত সেই সব
অন্তিম কালে অজস্র বৈভব।
সেই সব জমিজমা,টাকাকড়ি
নয় গো কতক পাথর-নুড়ি,
বার্ধক্যে সে’ভারে নুয়ে পড়ে
ঘর্ম-সিক্ত সে বোঝার ভারে।
ঘাট পারাপার করতে হবে
পাড়ি দেবে সে নতুন ভবে।
বিষয়াদি সবই নিতে মানা
একাকী ছাড়তে হবে দুনিয়া।