এখন গুলজার আড্ডা বসে না আর
হাটে বাজারে কিংবা চায়ের দোকানে।
দোকানি খোলে না দোকানের ঝাঁপ
করোনা র কারণে বিধিনিষেধ মেনে।


নিরাপত্তা-হীনতার কারণে আদিকাল
থেকে জোট বদ্ধ ছিল মানব জাতি
তখন তাদের ঘোর বিপদ-আপদে
প্রকৃতি ধরেছিল নিরাপত্তার ছাতি।


কী যে হলো শেষে মানুষে-মানুষে
রত্নের মতো কুড়লো হিংসা-বিদ্বেষ
নিরাপত্তার চাদরে সমগ্র দেহ ঢেকে
বিরোধের জটাজাল ছড়ালো বেশ।


প্রকৃতি সেসব দেখে অশ্রু ঝরা চোখে
হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াতে করলো মানা      
সেই নিষেধ কভু শোনেনি দুর্জনেরা    
ওরা ফিরবে না সেটা ছিলই জানা।        


প্রকৃতি সয়েছেন বহু লাঞ্ছনা-গঞ্জনা
শেষে তারও ছাড়ালো সহ্যের সীমা
লাঞ্ছিতা প্রকৃতি যখন গর্জে উঠেছে
মানুষেরা নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছে।


যতই বিঁধুক আতঙ্ক মানুষের মনে
প্রয়োজন ছিল করোনা র সংক্রমণ
এখন মানুষ বুঝছে বাঁচার তাগিদে
জোট বদ্ধ হয়ে বাঁচা খুব প্রয়োজন।


দেখছি অস্ত্রাগারে শায়িত অস্ত্র-সম্ভার
নতমস্তকে জানায় নিজেদের ধিক্কার
বুঝছে ওদের প্রয়োজনও নেই আর
হয়তো আগামীতে হবে না দরকার।


জাগ্রত হোক সব মানুষের চেতনা
ভুলে যাক সবাই বিভেদ ভাবনা
সেই শুভক্ষণ আবার আসুক ফিরে
মঙ্গল-দীপ জ্বলুক সবার ঘরে ঘরে।