কাকাতুয়া সেদিন এক খবর
দিয়ে বললো,‘চলো,তোমাকে  
দেখিয়ে আনবো এবার,একটি
বিশেষ পরবে কত কী ঘটে।
দেখবে,তিনটি রাস্তার মোড়ে
দু’দিক থেকে সাপ ও নেউল
মুখোমুখি এসে গলাগলি করে
চলে যাবে তৃতীয় রাস্তা দিয়ে।
বিরল ঘটনা।জানি না,এরকম
দৃশ্য কে,কবে,কোথায় দেখেছে
আগে’।
খবরটা শুনেই মজেছি ব্যাপক
কৌতূহলে।শুনেছি আগে,‘বিপদে
পড়ে বাঘ ও গরু নাকি এক
ঘাটে পাশাপাশি জল খেয়েছে’।
তবে সেই ঘটনা ঘটার সময়
কে কিংবা কারা সাক্ষী ছিল,
ইতিহাসের অজস্র বই তন্নতন্ন
করে ঘেঁটেও সেরকম ঘটনার
উল্লেখ পাইনি কোথাও।
ভেবেছি একাকী রাত জেগে,
‘যারা শত্রু ভেবে মুখ দেখাও
বন্ধ করে আজীবন থেকেছে
শত সহস্র যোজন দূরে,অশান্ত
বাতাসের কারণে একে অপরের
গায়ের গন্ধ পেলে ফোঁসফোঁস
করেছে রাগে’,তবে কী কারণে
এখন বৈরাগ্য  জাগছে তাদের
মনে?
এই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হতে
চৈত্রের রোদে কাকাতুয়ার সাথে
ছুটে গেছি সেখানে।
দেখেছি, দূরদূরান্ত থেকে অনেকে
ছুটে এসে ভিড় জমালো।তখন
কাকাতুয়া বললো,সে নাকি বিগত
রাতে দৈববাণী শুনেছে কে যেন
বলছে,‘বাস্তবতার নিরিখে এসব
ঘটনা সম্ভব নয় কখনও’।
জানি না,সেই কথাটি পৌঁছলো
কিনা সাপ ও নেউলের কানে।
যখন নির্দিষ্ট সময় আগতপ্রায়,
দেখি,কৌতূহলী সবাই ইতিউতি
সবদিকে তাকালো সে ঘটনার
সাক্ষী থাকার অভিপ্রায়ে।
তাদের কেহ ই এলো না দেখে
জনতা তখন করে কী?শুরু হলো
উপহাস ও ব্যঙ্গোক্তি।
যথার্থ সময়টা ঘনিয়ে আসার
আগেই অজস্র শুকনো পাতার
মর্মর ধ্বনিতে জেনেছি ওরা
এ ঘটনার মহড়া দিতে গিয়ে
রেষারেষি করে উভয়ে ই পঙ্গু
হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী।