কথায় বলে,বাণিজ্যে বসতি
লক্ষ্মী,আর ব্যবসা-বাণিজ্যে
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞাপন সমাদৃত।
বলো,কেহ কি আর এখন
অস্বীকার করতে পারে তার
গুরুত্ব?
ভেবে দেখো,প্রতিদিন বাড়ছে
নিত্য নতুন ব্যবসার চাহিদা।
আর তখন গাদা গাদা টাকা
রোজগারের সুবর্ণসুযোগ ঘুরে
বেড়াচ্ছে চোখের সামনে।
তবে,শোনো,শেয়ার বাজারে
অর্থ বিনিয়োগের মতো খুব
ঝুঁকিপূর্ণ।মনে অসীম সাহস
থাকা চাই,বাকপটুও হওয়া
দরকার।সে দিন লোকজনেরা
করছিল বলাবলি,‘ছলচাতুরী
ও মিথ্যাকথা বলার অভ্যাস
থাকাটাও জরুরী।
এ ব্যবসায় আজকাল নাকি
অর্থ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা
যথেষ্ট।
রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে
নেমে পড়েছে এ কাজে।তারা
বুঝেছে,শুধু সমাজসেবার কাজ
করলে কি আর পেট চলে?
তাই তারা সেই ভাবনা ভুলে
ভোটে জিতে হতে চাইছে নাকি
জন প্রতিনিধি।এ কাজে নেমেই
সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে ভোটের
কারবারি দের কাছে।
শোনো,তাদের সাথে দরদাম
শেষে হতে হচ্ছে চুক্তিবদ্ধ,
করতে হচ্ছে ব্যাপক অর্থের
বিনিয়োগ।তবে একটি বার
ভোটে জিততে পারলে তখন
বিপুল অর্থ কড়ি রোজগারের
সম্ভাবনা।এখন একথা নাকি
সকলের জানা।
লোকে বলে,ছলেবলে কিংবা
অর্থ ও বাহুবলে সেই প্রার্থীকে
ভোটে জিতিয়ে আনাই ভোটের
কারবারিদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
তবে চুক্তির শর্তগুলি অনুসারে
প্রার্থী কেও মেনে চলতে হয়
কারবারি দের নির্দেশাবলী।
তারা শিখিয়েও দেবে ভোটে
প্রচারের সময় প্রার্থীকে কখন,
কোথায় কী বলতে হবে আর
সেখানে কিভাবে কী অভিনয়
করতে হবে।বাদবাকি সমস্ত
কাজ তারা করে দেবে।
তবে শোনো,লাগামছাড়া অর্থ
যেখানে উড়ে বেড়ায় সেখানে
ঠগ-বাজ,দালাল ও জুয়ারিরা
ভিড় করলে আশ্চর্য হওয়ার
মতো ঘটনা ঘটে কি?সেসব
দায়িত্ব ভাগ করে নেয় প্রার্থী
এবং ভোটের কারবারিরা।
এসব পেশাদার কারবারিদের
রমরমা দেখলে বিস্ময় জাগে।
ভোটপ্রার্থীদের ভোটে জিতিয়ে
আনতে তারা মরিয়া।সে জন্য
তাদের মাথা কে খাটাতে হয়
খুব।
তারা শুরু করে দেয় প্রি-পোল,
একজিট পোলের মতো কত
কি!সবই অর্থ বিনিয়োগকারী
ভোটে প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার
কলাকৌশল।পরিকল্পিতভাবে
যাই করুক,উদ্দেশ্য একটাই।
ফলাফল ভোটপ্রার্থীদের পক্ষে
থাকা চাই।
শোনো,এই ‘পোল’এর সমীক্ষা
এবং তথ্য নিয়ে জন মানসে বহু
প্রশ্ন এবং মতভেদ রয়েছে।তবে
সে যাই থাকুক না কেন,এ সব
যে জনগণের মগজ ধোলাইয়ের
এক উৎকৃষ্ট কৌশল,এ ব্যাপারে
সন্দেহ নাই মোটে।
বলি,যাত্রাপালা দেখেছো কখনো?
সেখানে থাকে দক্ষ কলাকুশলী।
সেদিন চায়ের দোকানে শুনেছি,
‘এক্ষেত্রেও পেশাদার কারবারিরা
জুটিয়ে নেয় বিশেষজ্ঞ মণ্ডলী।
তারপর তাদের তৈরি সেসব
বিশেষজ্ঞ মণ্ডলীকে দিয়ে বেশ
পরিপাটি করে আলোচনা এবং
বিতর্কসভার আয়োজন করলে
তখন তো একেবারে সোনায়
সোহাগা’।
সকলে একথা করছিল বলাবলি,
‘এই প্রার্থী-ই নির্বাচনে জিতবে
সে খবরটাকে জনগণদের মধ্যে
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে এবং
তাকে পুনঃপুন প্রচারের জন্যই
অর্থের বিনিময়ে গণতন্ত্রের চতুর্থ
স্তম্ভ এক পায়ে সটান দাঁড়িয়ে
আছে’।বলি,সে কথাটি কি আর
বলার অপেক্ষা রাখে?
শোনো,বারংবার একই কথাকে
প্রচার করলে মিথ্যা সত্যি হতে
কি আর সময়ে লাগে?এভাবে
চললে,‘অশ্বত্থামা হত ইতি গজ’
এর মতো ঘটনা না-ঘটে পারে?