এক যাযাবর নানান দেশ ঘুরে এক দেশে
দেখেছে একটি জাতি ঢেঁকিতে চিঁড়ে চ্যাপ্টা
হয়েছে বারবার,নয়তো বৈদেশিক অত্যাচারে
হয়েছে পেষাই,ফোয়ারার মতো ঘটেছে দেশে
সাধারণ মানুষের রক্তপাত।


পরাধীনতার শৃঙ্খলে বদ্ধ সেই জাতির অজস্র
নারীকে হতে হয়েছে ওদের চরম নির্যাতনের
শিকার,ঘৃণ্য পাশবিক অত্যাচারে বহু নারীকে
বইতে হয়েছে ওদের অযাচিত দায়ভার।


আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসের মতো অন্তর দাহে
বহু নারী স্বেচ্ছা-মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন
লজ্জায়,ঘৃণায়।নয়তো সারা জীবন ধরে বয়ে
বেড়ালেন অযাচিত সন্তানের প্রতিপালন-ভার।


হয়তো কোন হিমশিলা বয়ে গিয়েছিল সেই
দেশের বুক চিঁড়ে তাদের স্বাধীনতা লাভের
অব্যবহিত পরে,নয়তো কিভাবে সেই জাতির
কতিপয় পাষণ্ড অক্লেশ ভুলেছে সুদীর্ঘকালের  
পরাধীনতার গ্লানি।


বহু কষ্টার্জিত দেশের স্বাধীনতা লাভের পরে
সেই অসাধু কারবারিরা সেই দেশকে করেছে
ছারখার,স্বদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই পিষে  
মারবার পেয়েছে যেন একছত্র অধিকার।


ওরা সুচারু ভাবে বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়ে
ভরাল লকার,যা সেথায় অব্যবহৃত পড়ে থাকায়
পথের ধূলার মতো মূল্য তার।


বহমান অন্তঃসলিলা নদী সেসব দেখে ভেবেছে
সেই অর্থ স্বদেশে সামগ্রী উৎপাদনের কাজে
ব্যবহৃত হলে শ্রমিক-কৃষকের ঘামের ছোঁয়ায়
বাড়তো কদর তার,স্বদেশের মেধা-সম্পদের
হতো যথাযথ ব্যবহার।


দেশের বুকে যেন ছড়িয়ে পড়েছে মরু সাহারা,  
বাজারে অর্থাভাব,দেশে কর্মহীন দক্ষ ও অদক্ষ
শ্রমিকেরা।অনাদরে পড়ে আছে শিল্পের কাঁচামাল,
দেশে বাড়ছে সাধারণ মানুষের অর্থাভাব,অপুষ্টি
সহ নানাবিধ রোগের প্রাদুর্ভাব।


সারাদেশে দিশা-হীনতায় চাতকের মতো ঘুরছে
শিক্ষিত বেকারেরা।নিজেদের স্থাবর ও অস্থাবর
সম্পদ সন্তানদের শিক্ষাখাতে ব্যয় করে তাদের
বৃদ্ধ পিতামাতা বার্ধক্যে দিশাহারা।


গঙ্গা-ভাগীরথী দিয়ে বয়েছে অনেক জলধারা।
নদী স্মিত হেসে দেখেছে সেই দেশের গণতন্ত্রের  
চেহারা।আজ নদীর বক্ষে মোহানায় জমাট পলি
ঠিক যেন অসাধুদের লকার ভর্তি টাকার থলি।

নদী!আর তো দেখিনা তোমার স্মিত হাসি।