তাকে আগেও দেখেছি বহু বার।আমার প্রথম
দেখা থেকে,যখনি স্থির হয়ে দাঁড়াতো সে মনে
হতো যেন পিসার হেলানো মিনার।
তবু সটান দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা ছিল তার।যেমন
হয় সুদীর্ঘ রোগ ভোগ থেকে কোনও মানুষের
আরোগ্য লাভের সময়।
সেদিন লক ডাউন সময়ে স্মৃতির অববাহিকায়
হাঁটছি যখন,সেসময় অদূরে কয়েকটি কাকের
কর্কশ ডাক শুনে সেদিকে ফিরে তাকিয়ে দেখি
কে যেন মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে।দূর
থেকে দেখে চিনতে পারিনি তাকে।
তারপর মুখোশে মুখ ঢাকা কেহ এসে সেই মৃত
দেহকে ছিপের বড়শিতে বিদ্ধ মাছের মতো হুকে
বাঁধিয়ে টেনে-হিঁচ্‌ড়ে নিয়ে চললো পথ-দুর্ঘটনায়
মৃত কুকুর বিড়ালের মতো এক প্রজ্বলিত চিতায়
তুলে দিতে।
সেসময় টর্চের আলো মৃতের মুখে ফেলেই হয়েছি
হতবাক,তাকে দেখে।সেই পরিচিত মুখ,যার কথা
উল্লেখ করেছি আগে।
দেখেছি তার বেদনার্ত মুখ,ব্যথিত হৃদয়।কঙ্কাল
সার শরীর।আমি তার এই দুর্দশা দেখে জুড়েছি
আর্ত চিৎকার।জেনেছি এক প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে
আমার সংজ্ঞা হারাতে বিলম্ব হয়নি আর।
সেই থেকে যখন একাকী বসে থাকি,মনে পড়ে
সেই দৃশ্যটি।‘মানবতা’কে সেদিন যেভাবে তুলে
দিলো চিতায়।