কত কি ঘটেছে আগে!যাক গে সে’কথা।
মনি-মুক্তোর মতো ঝাঁ-চকচকে দিনের
শুরুতে বলি,বিশেষ কিছু করে দেখাতে
মুনশিয়ানা লাগে।প্রস্তুতি নিতে হয় বেশ
আগেভাগে।এই যেমন,খুব রেগে গজ গজ
করতে হলে গলা ফোলাতে জানতে হয়
আগে,বায়সকে পিক সেজে পেখম মেলে
নাচতে হলে ময়ূর পুচ্ছ যোগাড় করতে
হয়।ডুবুরীদের সাগরের তলদেশ থেকে
ঝিনুক কুড়িয়ে আনতে হলে আগেভাগে
সাগরের গভীরতা জানতে হয়।
ঠিক তেমন,ভয় কে জয় করে নজরানা
আদায় করতে কিছু কৌশল জানতে হয়।
তার কিছু কিছু হয়তো অনেকের শোনা।
এই যেমন গাছের মোটাসোটা গুঁড়ি দিয়ে
রাস্তা অবরোধ করে রাখা।বলি,ওই সব
আদ্যিকালের আদব কায়দা।মাঝপথে গর্ত
খুঁড়ে রাখার কথা,সেও জেনেছে অনেকে।
তাই বলে,ক’জন জেনেছে আগে,মাঝ রাস্তা
কেটে গর্ত করে সেখানে কলা গাছ ফেলে
মোরাম দিয়ে ঢেকে দিয়ে রাস্তাকে আবার
পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা।উন্নত
প্রযুক্তি,আর কী!তাছাড়াও আছে আরও
কত কী!
বলি,এখন ঘোর কলি যুগে মাল বোঝাই
পণ্যবাহী লরির মালিক দের নজরানা
না-দিয়ে দুর্বৃত্তদের সীমানা কে এড়িয়ে
যাওয়ার উপায় কী?
এ যুগে বজায় নেই পূর্বের ট্র্যাডিশন।
ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন।এখন পূর্বের
ঘটনাবলী উল্লেখ করে বলা যাবে না,
খ্যাতনামা সাহিত্যিকের কথায়, ‘সেই
ট্র্যাডিশন আজও সমানে চলছে!’
বলি,সুচারু ভাবে পরিবর্তন ঘটাতেও
মুনশিয়ানা লাগে।