শ্যামলী,কী ভাবছো বসে একাকী?
খবরের কাগজের শিরোনামে নারী
নির্যাতনের খবরটি জেনে নারীদের
নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছো নাকি?
শ্যামলী শোনো,এসব ঘটনা ঘটছে
অহরহ।ক’টা আসছে রোজ খবরের
শিরোনামে?
বলছি তোমাকে,বিশ্বের বহু দেশে  
নারীদের নিরাপত্তার অভাব আছে,
একথাটি সকলেই করছে স্বীকার।
মনে হয়,সেই দুঃখে আজও যেন
ফাটছে মেদিনী।অশ্রুও ঝরাচ্ছেন
জগত জননী।
শ্যামলী,এই বিষয়ে বলা দরকার
ক’জন মনে রেখেছে,সব কাজের
পিছনে থাকছে কোনো না কোনও
কারণ।বিনা কারণে এই জগতের
কোনও কাজই হয় না। বিজ্ঞানের
গুরুত্বপূর্ণ কার্য-কারণ সম্পর্কটির  
এই কথাটিও জনগণ কি বেমালুম
ভুলে গেছে?
শ্যামলী,দেখো চারদিকে অন্ধকার।
বলছি তুমি কি শুনতে পাচ্ছো,দূর
থেকে ভেসে আসছে বহু নেকড়ের
চিৎকার।হয় তো তারা এই সময়
কোনও নারীকে ছিঁড়ে খাচ্ছে।
শ্যামলী,বলছি কার্য-কারণ সম্পর্কের
নিয়ম মেনে,এ যাবৎ সমাজে নারী
নির্যাতনের মতো গুরুতর সামাজিক
ব্যাধিটির প্রতিকারের জন্য এই দেশে
ক’জন করতে চেয়েছেন যথোপযুক্ত
বন্দোবস্ত।মনে রেখো,রামমোহন এবং
বিদ্যাসাগর এদের মতো বহু মনীষী
এসেছিলেন ঘন আঁধারে আচ্ছন্ন এই
সমাজকে করতে আলোকিত।তারপর
থেকে আজও পাইনি বিশেষ কোনো
মনীষীর দেখা।জানি না,এই বাধার
পিছনে কোথাও টানা রয়েছে কিনা
কোনও লক্ষণ রেখা!
শ্যামলী,কার্য-কারণ সম্পর্কের কথা
মাথায় রেখে বলছি আবার,কোনও
এক সময় সব দিকে গড়ে উঠলো
মাতৃ-তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা,নারীরা
হলেন মাতা রূপে পূজিতা,অসুরদের
নিধনে তাদের কোনও বিকল্প ভাবা
যেতো না,বলো,তবে কেন তাদেরই
এই বেহাল দশা?তাদের কি এখন
করতে হবে না আত্ম-সমীক্ষা?