শ্যামলী,চারদিকে ঘোর অন্ধকার।
শোনো,তারই মাঝে কিছু প্যাঁচাও  
যেন সমাজ কে জানাচ্ছে ধিক্কার।
বলছি প্যাঁচাদের কাণ্ড কারখানা
দেখে,শ্যামলী,সমাজের কাঁদবার
জোগাড়।
নারীদের দুঃখ ও দুর্দশা দেখে
ডানা ঝাপটে সমাজের বিরুদ্ধে
তারা জানাচ্ছে তীব্র ক্ষোভ।
সমাজ কে বলছে তারা,‘এভাবে
ভীষ্মের মতো কতকাল ঘুমিয়ে
কাটাবে?বলছি,এবার জাগো।
দীর্ঘ সময় চুপ থেকে কী ভাবছ
শ্যামলী?লক্ষ্য করেছ কি আজও
সমাজে শুভ-বুদ্ধি সম্পন্ন নারীদের
নেই অভাব।তবু তারা নিজেদের
যথার্থ নিরাপত্তার অভাব ভেবেই
নারীদের সমস্যা সমাধানে এখন
এগিয়ে আসতে অনাগ্রহী।
ভাবনা চিন্তা করে,শ্যামলী বলো,
‘প্রভাতে আলোকিত সূর্য দেখতে
হলে ঘরের জানালা খুলে দেওয়া
দরকার’,আমার এই ভাবনাটির
সাথে তুমি কি সহ মত?বলছি,
নারীদের উপর নির্যাতন রোধের
কারণে যে যত খুশি দেখাক ভয়,
শ্যামলী,সে সব দূরে ঠেলে সরিয়ে  
প্রথমে জাগ্রত করতে হবে সমস্ত
নারীদের বিবেকবোধ।দৃঢ় প্রত্যয়ী
হও,ধরো হাল।
যদিও কারো বিষম লাগতে পারে,
শ্যামলী,তবু এবার বলি,কে জানে,
হয়তো দুর্যোগ আসবে তেড়েফুঁড়ে।
ঝড়ের সম্ভাবনাও প্রবল।জানি না,
সে সব ভেবে কেহ প্রহর গুনছে
কিনা!
তবু বলি,নিজেদের জাগ্রত বিবেক
বোধকে সম্বল করে নারীদের আজ
সমাজে পুরুষদের অত্যাচার থেকে
মুক্তির প্রত্যাশায় প্রথমে এ সমাজে
প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে নারী
গোষ্ঠীর ভিতর।
এ বিষয়ে রোজ দক্ষ প্রহরীর মতো
লক্ষ রাখতে হবে অর্থের প্রলোভনে  
যেন কেহ হ্যামলিনের মতো ঘটনা
আর না ঘটায়।বংশী বাদক যেমন
অনিষ্টকারী সমস্ত ইঁদুর দের নিয়ে
যেভাবে খেলেছে তেমন যেন আর
না ঘটে।


( নারীশক্তি (৭) কবিতাটি  ধারাবাহিক ' নারীশক্তি'র অংশবিশেষ এবং সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই এটি আমার স্বরচিত এবং এটি কোনও বইয়ে প্রকাশিত হয়নি।)