গর্ভস্থ মানব-ভ্রূণ জন্মের অপেক্ষায়
জন্মদাত্রী হাসিমুখে বহেন তার দায়।
তখন ভ্রূণটিও মায়ের শরীরের অঙ্গ
প্রসূতি সৃষ্টি-সুখে যেন উড়ন্ত বিহঙ্গ।
অসুস্থ ভ্রূণ নয়,সুস্থ-ই তার চাওয়া
সুস্থ শিশু জ্বালবে তার অন্তরে দিয়া।
অসুস্থ-ভ্রূণ জেনে অনিচ্ছুক জন্মদাত্রী
দুঃখ সাগরে ডুবে থাকেন দিবারাত্রি।
সংশয়ে গর্ভস্থ ভ্রূণ সহ প্রসূতির প্রাণ
বাঁচার অধিকারে কে হবে আগুয়ান?
অসুস্থ ভ্রূণের জন্মদানে যত বাধকতা
জন্মদাত্রীর হবে কি বাঁচার সার্থকতা?
লক্ষ টাকার প্রশ্ন হলো বিচার্য বিষয়
যুক্তি ও নৈতিকতা নিয়ে জাগে ভয়।
আদালতে কক্ষ জুড়ে প্রবুদ্ধ-নাগরিক
স্নায়ু-শূলে বিদ্ধ প্রসূতির দুখের শরিক।
স্তব্ধ সমীর,নাগরিক সমাজ ততোধিক
জন্মদাত্রীর অন্তর জুড়ে দহে ধিকধিক।
ভ্রূণ ও জীবন লয়ে চললো কুট তর্ক
প্রসূতি ও স্ত্রী-রোগে বিশেষজ্ঞ সতর্ক।
চারদিক থেকে এলো নানাবিধ প্রশ্নবাণ
যেন রণক্ষেত্র জুড়ে গর্জে ওঠে কামান।
প্রশ্ন,ভ্রূণ থেকে শিশুর জন্মানোর আগে
কিভাবে ভ্রূণের বাঁচার অধিকার জাগে?
রমণীর জীবন ছাড়াও রয়েছে সংসার,
রোজ নিতে হয় তাকে কর্মকাণ্ড-ভার।
প্রাণঘাতী ব্যাধি নিয়ে শিশুটি জন্মালে
জননীর দাম্পত্য জীবনটাও দোলাচলে।
প্রসূতি আজীবন হবেন যন্ত্রণার স্বীকার
সেটা কি সুস্থ সামাজিক ন্যায়-বিচার?
জগদ্দল পাথরের বোঝা প্রসূতির বুকে
দীর্ঘ নিশ্বাস উত্থিত হলো থেকে থেকে।
প্রাধান্য পেল সকল সুচারু যৌক্তিকতা
বিচারক দেন প্রসূতির ইচ্ছার মান্যতা।
অসুস্থ ভ্রূণ পরিহারে জুটেছে স্বাধীনতা
ঘুচে গেল সব অমূলক বাধ্যবাধকতা।
প্রসূতির স্বপক্ষে গেল যুগান্তকারী রায়
প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজ ও দিলো সায়।