এই তো সেদিন গভীর রাতে দেখেছি স্বপনে,
পুনর্জন্মের শিকল ধরে মৃত্যুর পরে পৃথিবীতে
ফিরে এসেছি বারেবারে। দেখেছি অন্ধবিশ্বাসে
মানুষ কত কী করতে পারে!
দীর্ঘকাল আগে বিজ্ঞান প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর
ব্যাখ্যা দেবে কী? সে তখন শৈশবে, হামাগুড়ি
দিতে ব্যস্ত।
আবহমানকাল ধরে ঘটে চলা অজস্র প্রাকৃতিক
ঘটনাবলীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সেসময় থেকেছে
অনাবিষ্কৃত।
নানাবিধ প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর বৈজ্ঞানিক কারণ
না জানা থাকায় সকলে ছিল ভীত সন্ত্রস্ত। তারা
তখন মেনেও নিয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব।
অজ্ঞানতায় চন্দ্র সূর্য ইন্দ্র ও বরুণকে দিয়েছিল
দেবতার স্থান। সেই তালিকা এখানেই শেষ নয়,
সুদীর্ঘ। বলবো আর কত?
ঘটনাগুলোর আজগুবি ব্যাখ্যা দেওয়া থেকেও
মানুষ পিছিয়ে আসেনি। লেখা হয়েছে অজস্র
কাব্য। লিখতে ও বাকি রাখেনি মহাকাব্য।
কত না দেব-দেবতার হয়েছে উদ্ভব। ধর্মগ্রন্থে
তাঁরা পেয়েছে ঠাঁই।
কারো কারো বিশ্বাস ধর্মগ্রন্থে যা লেখা আছে
সেও ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত।
যে যাই দাবি করুক এখন ঘুচেছে বিজ্ঞানের
নাবালকত্ব । সে এখন চাঁদে পৌঁছেছে, তাতে
কী? ধর্মান্ধতা থেকে বেরিয়ে আসা অনেকের
পক্ষেই সহজ কি?
বলবো কি, স্বপনে দেখেছি অনেকে এখনও
মজে আছে ধর্মবিশ্বাসে। আজও ভাবছে তারা
ধর্মগ্রন্থের লেখা মিথ্যা হতে পারে নাকি?
সেই লেখাগুলো কে ধ্রুব সত্য ভেবে আজও
বুকে আগলে রেখেছে।
আজও ঘোচেনি অন্ধত্ব। বলবো আর কত?
বিশ্বজুড়ে আজও ধর্ম নিয়ে ক্রমাগত চলছে
যুদ্ধবিগ্রহ।
দেখেছি মেঘে ডাকা আকাশ, বজ্র বিদ্যুতের
ঝলকানি। অশনিসংকেত শুনে মনের হয়েছে
যেন ভরাডুবি।
স্বপ্নে দেখা সবই আজগুবি কিনা, জানিনা।
ভাঙলো ঘুম। তড়িঘড়ি উঠে বসে ভেবেছি
তখনি, কে জানে, সর্বনাশের খাঁড়াটি নেমে
আসবে নাতো?