শুনেছি,দুঃস্থ কৃষকদের না-বলা
কথাগুলোর আকাশ ছুঁতে বাধা
আছে কোথাও লতানো গাছের  
মতো।
কথাটির সত্যটা যাচাই করতে
একটু তাকিয়ে দেখো উত্তরের
হিমালয় পর্বতের দিক থেকেই
ধসে আসা পাথরে চাপা পড়া
দুঃখকষ্টকে বুকে আগলে ধরে
প্রান্তিক চাষিরা যেন শামুকের
মতোই খোলসের ভেতর বেশ
গুটিসুটি মেরে বসে ঘুড়ি ওড়ানো
দেখছে।
তারিফ করবার মতোই খেলা
বটে!গ্যালারীর দর্শকাসন খালি
নেই মোটে।ভাবছো নাকি,‘এই
খেলাটি দেখা ক’জনের ভাগ্যে  
জোটে’?সত্যিই বটে।
সেলুকাসের উপলব্ধিকে তারিফ
করতেই হয়।বিচিত্র এই দেশ।
এ খেলাটি দেখার জন্যও দু্র্লভ
ভাগ্যের দরকার।
জনগণেরও বরাত খুব ভালো
বলতে হয়।করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে মরলে এই খেলা
তাদের দেখাও হতো না আর।
অভিযোজন ক্ষমতা বেশ।স্রষ্টা
কৃপা করুন অশেষ।
এই খেলায় চলবে কাটাকাটি।
দর্শকরা সেদিকে অপলক চেয়ে
আছে।এই খেলার শেষে তারা
বিজয়ীকে তারিফ করেই ঘরে
ফিরবে।
তারা সকলে বলাবলিও করবে
গ্যালারীতে বসে দেখেছে প্যাঁচ
কষে কষে প্রতিপক্ষকে কিভাবে
নিকেশ করতে হয়।