বলেছি তাকে, ‘বেশ তো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে
আছিস আর তোর শিকড় ছড়িয়েছে বহুদূর
সার জল গিলে খেতে।
তোর লোভ লালসায় চারিদিক হয়েছে এখন
জলশূন্য মরুভূমি প্রায়, পারবি কি তার দায়
এড়িয়ে যেতে? হিসাব আছে কত গাছ মাঠে
মারা গেছে তাতে?
পরিসংখ্যান ঘেঁটে আর কী হবে? সেতো মূর্ছা
যাওয়ার মতো, অগণিত।
হয়তো তবুও তোর অন্তরে হয়নি বিবেকের
দংশন, সৃষ্টি হয়নি ক্ষত!
হয়তো ভেবেছিস সে কথা ভেবে কি হবে?
অমানবিক মনুষ্যত্ববোধহীন একথা ভেবেছে
কে, কবে?
হতে পারে আজও জাগেনি তোর মানবিক
জীবনবোধ। ঔদ্ধত্য এতো, নেমে পড়েছিস
করতে প্রতিবাদীদের কণ্ঠ রোধ।
ভেবেছিস এ কাজ তোর সাধ্যে কুলবে কি?
একথা এখনো জানতে বাকি, ‘অসাম্য যখন
যেখানে, সেখানে চলে সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াই?
প্রকৃতি থেকে এই শিক্ষা না-নিয়ে করিস
বড়াই?
বলিহারি বটে, সাহস তোর তো মন্দ না,
ধূমকেতুর মুখোমুখি হলে খুঁজে পাবি তোর
ঠিকানা?
তোর পূর্বসূরি স্বৈরতন্ত্রীরা চেষ্টা কম করেছে?
দেশে দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েও সাফল্য
কতটা পেয়েছে?
দেখ ইতিহাসের বই ঘেঁটে তাদের পরিণতি,
অবশেষে খেতে হয়েছে ধুলায় লুটোপুটি।
তোর বরাতেও বোধ হয় সেকথাই লেখা
আছে।