সুশোভন নয়, অপ্রত্যাশিত ও বটে
তবু বহু মানুষের জীবনে এমনি ঘটে!
দেখেছি তাদের স্বভাব ও চরিত্র
হারিয়ে ফেলে সুশোভন সমাজের কৌলীন্য
যেন লোহার উপর জমেছে মরিচার আস্তরণ।
কেন তাদের এ দশা ভাবলে
তখন নদী বাঁকে অজস্র দামে এসে ঠেকে
ভাবুক কেও ভাসতে হয় বিদিশার স্রোতে।
সে অনুভব করে বৈকি,বহুক্ষেত্রে তারা
এ সমাজের ত্রুটি ছাড়াও
কারিগরদের অযোগ্যতার শিকার।
বলবো কী আর
বহু আজব-কাণ্ড দেখে হয়েছি হতবাক!
যাদের উপর নরম কাদা-মাটি দিয়ে
সুন্দর সুন্দর পুতুল গড়ার দায়ভার
সেই কারিগরদের অযোগ্যতায় ও অক্ষমতায়
কিবা তাদের দম্ভের কারণে
প্রায়শ সে মাটিকে হতে হয়
তাদের অবহেলা ও অবজ্ঞার স্বীকার।
আবার কারিগররা এ কাজে আনাড়ি হলে
পুতুল গড়তে গিয়ে গড়ে ফেলে হাঁড়ি কুঁড়ি।
শিশুরা যে সময় কাদা-মাটির পর্যায়ে
প্রতিবাদ দুরস্ত,তারা কি বুঝতে পারে
তাদের নিয়ে কারিগররা কী গড়ছে ধীরে ধীরে?
যখন তারা শৈশব ও কৈশোর পেরিয়ে
পৌঁছে যায় তারুণ্যের দুয়ারে
সুযোগ নেই আর সে পুতুল ভেঙ্গে আবারও গড়ার।
সেই তরুণ-তরুণীদের অনেকে তখন বোঝে বটে
তাদের কী হলো আর কাদের দোষে?
কেন তারা মরছে যাঁতা কলে পিষে?
সাধ্য-সাধনায় অনেকে চেষ্টাও করে বটে
মরিচার আস্তরণ মতো সব ত্রুটি খসাতে।
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে প্রচেষ্টা চালালে
কিছু ত্রুটি সংশোধন হয়,বৈকি
তবু সব মরিচা খসে পড়ে কি?
স্বভাবজাত বহু ত্রুটি বোঝাও দুষ্কর
দেখেছি যখন যেটুকু আসে নজরে
অনেকে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালায় শুধরে নিতে।
দুর্ভাগ্য তবু জোঁকের মতো লেগে থাকে
ছাড়ানো যায় না কোনমতে।
পাকা বাঁশ বাঁকানো যায় কি আর সহজে?
দেখে অনেকের করুণ পরিণতি
ভাবি, একে বলবো কি নিয়তি?
দুঃসময়ের ছোঁয়ায় জীবনে পদে পদে
ব্যর্থতার কারণগুলো তারা বোঝে যখন
ঝড়ে ভাঙ্গে কারিগরের প্রতি
তাদের বিশ্বাসের আঁতুড়ঘর!
ঝড়ে হেলে পড়া জীবন-বৃক্ষকে
আঁকড়ে ধরে অনেকে ভাবে এ জীবনের হলো কী?
ভিসুভিয়াসের আশেপাশে দাঁড়িয়ে
ভাবে তখন সেই সাথে ভূকম্পন ও শুরু হলো নাকি?
জীবন-যুদ্ধের মুখোমুখি হলে
নানান অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি দেয় খবর
পায়ের নীচের মাটিও যেন কাঁপে থরথর।